২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

বিশ্ব বাবা দিবস: তারিখ,তাৎপর্য ,উৎস

আপডেট: জুন ১৯, ২০২১

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

সনৎ কৃষ্ণ ঢালী,স্টাফ রিপোর্টার :

বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে থেকে পিতৃ দিবস পালন শুরু হয়। আসলে মায়েদের পাশাপাশি বাবারাও যে তাদের সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল – এটা বোঝানোর জন্যই এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। পৃথিবীর সব বাবাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকে যার শুরু। ধারণা করা হয়, ১৯০৮ সালের ৫ই জুলাই, আমেরিকার পশ্চিম ভার্জেনিয়ার ফেয়ারমন্টের এক গির্জায় এই দিনটি প্রথম পালিত হয়। আবার ১৬ বছরের বালিকা সোনোরা লুইস ডড, যিনি কোমল বয়সে তার মাকে হারিয়েছিলেন। তার বাবা যিনি সামরিক বাহিনীতে চাকরি করেছিলেন তিনি সোনোরা এবং আরও পাঁচ ভাইবোনকে একাকী এবং নিঃস্বার্থভাবে তাদের জীবনকে সফল ও আনন্দদায়ক করার জন্য অবদান রেখেছিলেন। কন্যা তার পিতার ভূমিকা পালন করার জন্য অত্যন্ত কৃতজ্ঞতা বোধ করে এবং গ্রহ জুড়ে অগণিত পুরুষদের দ্বারা পরিচালিত অনুরূপ ভূমিকা স্বীকার করতে চেয়েছিলেন। ডড এই আইডিয়াটা পান গির্জার এক পুরোহিতের বক্তব্য থেকে, সেই পুরোহিত আবার মা’কে নিয়ে অনেক ভালো ভালো কথা বলছিলেন। তার মনে হয়, তাহলে বাবাদের নিয়েও তো কিছু করা দরকার।আমাদের জীবনে পিতৃ এবং পিতার মতো ব্যক্তিত্বের অবদান উদযাপনের জন্য সোনোরা ৫ জুন (তার বাবার জন্মদিন) আন্তর্জাতিক পিতা দিবস হিসাবে উদযাপন করার জন্য একটি প্রচারণা চালিয়েছিলেন। তিনি সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগেই পরের বছর, অর্থ্যাৎ ১৯শে জুন, ১৯১০ সালের থেকে বাবা দিবস পালন করা শুরু করেন।তার পর থেকে প্রচুর দেশ প্রতি বছর জুন মাসে একটি নির্বাচিত তারিখে ফাদার্স ডে পালন করে।

পিতৃ দিবস বেশ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়েই পালিত হতো! আসলে মা দিবস নিয়ে মানুষ যতটা উৎসাহ দেখাতো, পিতৃ দিবসে মোটেও তেমনটা দেখাতো না, বরং বাবা দিবসের বিষয়টি তাদের কাছে বেশ হাস্যকরই ছিল। ধীরে ধীরে অবস্থা পাল্টায়, ১৯১৩ সালে আমেরিকান সংসদে পিতৃ দিবসকে ছুটির দিন ঘোষণা করার জন্য একটা বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯২৪ সালে তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজ বিলটিতে পূর্ণ সমর্থন দেন। অবশেষে ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন পিতৃ দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে জুন মাসের তৃতীয় রবিবার পিতৃ দিবস হিসেবে পালিত হয়।

আপাত দৃষ্টিতে অনেকের কাছেই মা দিবস বা পিতৃ দিবস পালনের বিষয়টি খুব একটা গুরুত্ব পায় না। তাই বলে এ ধরনের দিবসগুলো একেবারেই যে অপ্রয়োজনীয়, তেমনটা কিন্তু মোটেও বলা যাবে না। সন্তানের জন্য বাবার ভালোবাসা অসীম। মুঘল সাম্রাজ্যরের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট বাবর সন্তানের প্রতি বাবার ভালোবাসার এক অনন্য উদাহরণ হয়ে আছেন। তিনি সন্তান হুমায়ুনের জীবনের বিনিময়ে নিজের জীবন ত্যাগ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি। এমন স্বার্থহীন যার ভালোবাসা, সেই বাবাকে সন্তানের খুশির জন্য জীবনের অনেক কিছুই ত্যাগ করতে হয়। পিতৃ দিবসে সন্তানদের সামনে সুযোগ আসে বাবাকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ধন্যবাদ জানানোর। তাছাড়া পিতৃ দিবস পালনের ফলে সমাজে এবং পরিবারে বাবাদের যে অবদান তা যে সমাজ এবং নিজের সন্তানরা মূল্যায়ন করছে, এ বিষয়টিও বাবাদের বেশ আনন্দ দেয়। তাছাড়া অনেক সন্তানই আছে, যারা পিতা-মাতার দেখাশোনার প্রতি খুব একটা মনোযোগী নয়। মা দিবস বা বাবা দিবস তাদের চোখের সামনের পর্দাটি খুলে ফেলে পিতা-মাতার প্রতি তার দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এ ক্ষেত্রে তাই বলা যায়, পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় করতে মা দিবস বা বাবা দিবসের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। মোটকথা আমাদের পরিবার তথা সমাজে পিতার যে গুরুত্ব তা আলাদাভাবে তুলে ধরাই পিতৃ দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য।

“ফাদারস ডে সেলিব্রেশনের” ক্ষেত্রে দেশ ভেদে দেখা যায় বৈচিত্র্য। এ দিবসটি বিভিন্ন দেশে বিভিন্নভাবে পালিত হয়। দিনটি আমাদের জীবনে বাবার অবদানের প্রশংসা করার এবং তাদের সাথে দিবসটি উদযাপন করার একটি অনন্য সুযোগ দেয় তবে, গত দু’বছর ধরে করোনাভাইরাস মহামারীর ছায়ার মাঝে, এই বছরটি উদযাপনটি এই বছরও নিঃশব্দ থাকার আশা করা হচ্ছে। এই দিনে বাচ্চারা রান্নাঘরের দায়িত্বে নেয় এবং কেক, পেস্ট্রি, মিষ্টি, কাঁপুন এবং তাদের প্রিয় বাবার জন্য কী না তা সহ প্রচুর স্বাদের রান্না করে। রবিবার হওয়ায় পুরো পরিবার এক সাথে তিনটি খাবার ভাগ করে নেওয়ার এবং একে অপরের সাথে সময় কাটানোর জন্য হাতে সময় পান। দিনটি আমাদের সেই ব্যক্তিদের প্রতি আমাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ভালবাসা প্রকাশ করার একটি সুযোগও দেয় যা আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আমাদের পিছনে দেখে এবং আমাদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে প্রয়োজনীয় প্রয়োজনীয় সমর্থন বাড়িয়ে আমাদের জীবনে একজন পিতা ভূমিকা পালন করেছে। দিনটি আমাদের কয়েকজন প্রবীণদের স্মরণে রাখার পক্ষেও উপযুক্ত, যারা আমাদের জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি এবং দৃষ্টিভঙ্গিকে রূপ দিয়েছেন এবং আমাদের জন্য জিনিসগুলি সঠিক করার জন্য তাদের অমূল্য পরামর্শ এবং অভিজ্ঞতা দিয়েছেন।

আপনি বিশ্বের সেরা পিতা যিনি নিঃস্বার্থভাবে আমাদের জীবনকে আনন্দময় করে তুলেছেন। শুভ বাবা দিবস!

এই পৃথিবীর প্রতিটি শিশু আপনার মতো একজন বাবা পেতে পারে! শুভ বাবা দিবস!

বাবা দিবসে বিশ্বের সব বাবার প্রতি হৃদয়ে ধরে রাখি শ্রদ্ধা ও সম্মান।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network