আপডেট: জুন ২০, ২০২১
মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ ভূমিহীন-গৃহহীনদের একটি সুন্দর ঘরের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় ধাপে প্রায় ৫৪ হাজার পরিবার পেয়েছে একটি আধাপাকা বাড়ি। মুজিববর্ষে সারা দেশের ন্যায় পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে ২২৫ টি পরিবার পেয়েছে দলিলসহ ঘর ও জমি।
নিজের নামে জমি ও বাড়ি পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন উপকারভোগী নাজমা বেগম (বিধবা), মোসাঃ খুশী বেগম, জামাল, নজরুল হাওলাদার। তাদের ঘরে ঘরে যেন আনন্দের বন্যা।
মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের সুন্দ্রা গ্রামের সুবিধাভোগী মোসাঃ নাজমা বেগম (বিধবা) বলেন, “আমার স্বামী নেই এবং ঘরবাড়ি ও ছিল না। খুবই অসহায় ছিলাম। এই ঘর তৈরি করার ক্ষমতা আমার ছিল না। শেখ হাসিনার দেওয়া ঘর পেয়ে ঘর পেয়ে আমি খুব খুশি। এখন বাচ্চাদের নিয়ে চারটা ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে থাকতে পারবো।
পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের সুবিধাভোগী মোঃ নজরুল বলেন, “পরিবারের চারজনের জনের মুখে খাদ্য তুলে দিতেই খুব কষ্ট হতো। তয় ঘর করবো কী দিয়ে? এ ঘর পেয়ে আমি খুব খুশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য সব সময় দোয়া করব তিনি যেন দীর্ঘজীবী হয়।
রবিবার (২০ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে সারাদেশের ভূমিহীন-গৃহহীনদের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট ৫৩ হাজার ৩ শত ৪০ টি সেমিপাকা বাড়ির চাবি বুঝিয়ে দেন।
এ কার্যক্রমের উদ্বোধনের পর মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিধাভোগীদের হাতে নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়া ১০০ ঘরের জমির দলিলসহ চাবি হস্তাস্তর করেন। বাকি ১২৫ টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে বলে জানায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস।
এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী আত্হার উদ্দিন আহমেদ, ভাইস-চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জুয়েল, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান মিসেস হাচিনা হাবিব, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিববুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস বলেন, “মুজিববর্ষে বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য উপজেলায় গৃহহীন ও ভূমিহীন ‘ক’ তালিকাভূক্ত ২২৫টি পরিবারের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ১০০টি পরিবারকে সরকারি খাস জমিতে পাকা বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। বাকি ১২৫টি ঘরের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে এই ঘরগুলোর কাজ শুরু করতে একটু বিলম্ব হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাথরুমসহ দুইটি কক্ষ বিশিষ্ট ওই পাকা ঘরে থাকছে রান্নাঘর ও বারান্দা। যা একটি ছোট পরিবারের থাকার জন্য যথেষ্ট। প্রতিটি পাকা বাড়ি নির্মাণে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে বলে জানান তিনি।