আপডেট: জুন ২১, ২০২১
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ফিশারিজ টেকনোলজী বিভাগের অধীনে “বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ইলিশ মাছের আহরণ পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন ও উত্তরনের উপায়” শীর্ষক প্রকল্পের কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে “মৎস্য আহরণ পরবর্তী উত্তম পরিচর্যা বিষয়ক প্রশিক্ষণ” ১৯ জুন, ২০২১ইং রবিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর ও বিশিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক। উক্ত প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন ড. মোঃ সাজেদুল হক, সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, ফিশারিজ টেকনোলজী বিভাগ, পবিপ্রবি ও প্রকল্প পরিচালক, সংশ্লিষ্ট প্রকল্প। প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুমকি ও পটুয়াখালী’র অর্ধ শতাধিক মৎস্যজীবী এবং মাছ আহরণ ও পরবর্তী পরিবহন ও বাজারজাত করণের সাথে জড়িত মৎস্যজীবীগণ।
প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, বর্তমান বিশ্ব নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবারের বিষয়ে অনেক সচেতন, তাই মাছও অন্যতম পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে নিরাপদ হওয়া অধিক জরুরী। মৎস্য আহরণ পরবর্তী উত্তম পরিচর্যায়ই পারে অধিক পুষ্টিগুন সম্পন্ন মাছকে সবার কাছে নিরাপদ খাদ্য হিসেবে সরবরাহ করা। উক্ত গবেষণা প্রকল্প সে লক্ষেই কাজ করছে। এই প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম পবিপ্রবি’র সামাজিক দায়িত্ব পালনের অন্যতম অংশ যা বর্তমানে চলছে এবং ভবিষ্যতেও চলবে। আমরা আশা করি উক্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অত্র এলাকার মৎস্যজীবীরা মাছের আহরণ পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি রোধ করে মাছকে উত্তম পুষ্টিগুন সম্পন্ন নিরাপদ খাবার হিসেবে ভোক্তাদের সামনে তুলে ধরতে পারবেন যার মাধ্যমে অধিক মুনাফা অর্জন করে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে পারবেন। প্রশিক্ষক ড. মোঃ সাজেদুল হক মৎস্য আহরণ পরবর্তী উত্তম পরিচর্যা বিষয়ক তথ্য ও ছবি উপস্থাপন এবং হাতে-কলমে মাছের সঠিকভাবে বরফায়ন, মোড়কীজাতকরণ ও পরিবহনের বিভিন্ন পদ্ধতি উপস্থাপন করেন। যার মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীরা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে মাছের আহরণ পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি রোধ করে দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করতে পারবে। এর ফলে যথাযথ পুষ্টিগুন সম্পন্ন মাছ বাজারজাতকরণের মাধ্যমে ভোক্তাদের পুষ্টির চাহিদা পূরন ও মৎস্য ব্যাবসায়ীদের অধিক মুনাফা অর্জনের মাধ্যমে তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা তথা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।