আপডেট: জুলাই ২৩, ২০২১
হোসাইন আমির কুয়াকাটা প্রতিনিধি
আজ মধ্য রাত থেকে শেষ হচ্ছে কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের বঙ্গোবসাগরে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। ইতিমধ্যে ট্রলার ধোয়া মোচাসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলেরা। রাত বারোটার সঙ্গে সঙ্গেই ইলিশ শিকারে গভীর সাগরে যাত্রা করবে সহ¯্রাধিক মাছ ধরা ট্রলার। অন্যদিকে গত কাল থেকে আবহাওয়া খারাপ হওয়ায় হাজার হাজার জেলেদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছেন। পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর সর্তক সংকেত দেখিয়ে যেতে হয়েছে। কুয়াকাটা উপকূলীয় অঞ্চলের সকল মাছধরা ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রায় যেতে বলে দিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।
জানা যায়, সামুদ্রিক মাছের বাঁধাহীন প্রজনন ও সংরক্ষনে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিনের মৎস্য আহরনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মৎস্য বিভাগ। বছর জুরে ইলিশের আকাল আর করোনার প্রার্দুভাবে বিপর্যস্ত দখিনের জেলেরা এ নিষেধাজ্ঞায় বেশ হতাশ হয়ে পরেছিলো। এছাড়া এসময়ে সরকার প্রদেয় অপ্রতুল খাদ্য সহায়তা নিয়েও রয়েছে জেলেদের ক্ষোভ। তবে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে প্রায় সত্তর হাজার নিবন্ধিত জেলে পরিবারকে ৮০ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে এই মৎস্য কর্মকর্তা। দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেদের জালে ধরা পড়বে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। প্রানচাঞ্চল্যতা ফিরে আসবে আলীপুর মহিপুরের মৎস্য আড়ৎগুলোতে এমন প্রত্যাশা সকলের। কিন্ত আবহাওয়া খারাপ থাকায় সবই এখন গুরেবালী।২ মাস ঘরে বসে থেকে অলস সময় কাানোর কারণে দার দেনা হয়ে পড়েন এখানকার অসহায় জেলেরা। নিত্য প্রয়োজনীয় চাল ডাল মহাজনের কাছ থেকে নিতে নিতে দেনায় বারী হয়ে গেছেন অধিকাংশ জেলে। সাগরে অবোরধ এদিকে চলমান লকডাউনের কারণে অন্য কোথাও কাজ করে সংসার চালাতে পারেনি পঞ্চাশ বছরের আজিমপুর বাসি খলিল কোন রকম আশায় আশায় গদির মালিকের কাছ থেকে ৫বার বলছি ঠাকার জন্য একবার টাকা দিছে তাও আবার ২ দিন বাজারে গিয়ে আনতে হয়েছে। আলীপুরের ফারুক মাঝি বলেন- একদিন আগেই ট্রলারের সবকিছু ঠিকঠাক করে প্রস্তত ছিলাম রাতে সাগরে যাব কত আশা তাও হচ্ছেনা সাগর গরম আবহাওয়া খারাপ হয়েছে ৩নং সর্তক সংকেত কদিন থাকে এই খরাপ অবস্থায় আল্লাহ ভালো জানেন। এই সময়টায় জেলে পাড়া গুলোতে নিরবে কাদচ্ছে হাজারও জেলে পরিবার এমন মন্তব্য করেন আলীপুর কুয়াকাটার মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা।