২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শিরোনাম
মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই শিক্ষার মান নেমে যাওয়ায় উদ্বেগ শিক্ষার মান উন্নয়ন না হলে শুধু বদলী নয় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে-মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন পাঠ করলো ৭’শ শিক্ষার্থী

‘কোভ্যাক্সিন’ ট্রায়ালের অনুমোদন দিলো বাংলাদেশ

আপডেট: আগস্ট ৩, ২০২১

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

ডেস্ক রিপোর্ট:
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারতের নিজস্ব উদ্ভাবিত টিকা ‘কোভ্যাক্সিন’ বাংলাদেশে ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) এই অনুমোদন দিয়েছে। বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের (বিএমআরসির) পরিচালক অধ্যাপক ডা. রুহুল আমীন আজ মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডা. রুহুল আমীন বলেন, ‘বেশ কিছু দিন আগেই কোভ্যাক্সিন টিকা দেশে ট্রায়ালের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক তথ্য ও যুক্তির ওপর ভিত্তি করে আমরা এ অনুমোদন দিয়েছি। এই টিকার ট্রায়ালে আর কোনো বাধা নেই।’

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) বেশ কয়েক মাস আগে এই টিকা ট্রায়ালের জন্য বিএমআরসির কাছে অনুমতি চেয়েছিল। আইসিডিডিআর,বির বিজ্ঞানী কে জামান এ ট্রায়ালের প্রধান গবেষক। তবে কবে নাগাদ ট্রায়াল শুরু হবে, সেই বিষয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বিএমআরসির চেয়ারম্যান ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত মাসে এ ব্যাপারে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। থার্ড ফেজের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। থার্ড ফেজ হলো এরই মধ্যে এই টিকা মানবদেহে সফলতার সঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে। এখন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সংখ্যা যত বেশি বাড়ানো যায়, তত প্রতিষ্ঠানের সুনাম আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাড়ে। ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশে এ টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছে।’

মানুষের ওপর দেশে যে কোনো ধরনের প্রতিষেধকের ট্রায়ালের অনুমোদনের কর্তৃপক্ষ হলো বিএমআরসি উল্লেখ করে মোদাচ্ছের আলী বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি আইসিডিডিআর,বির মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে কাগজপত্র জমা দিয়েছে, এর পর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দেওয়া হয়।’

কবে থেকে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক মোদাচ্ছের আলী বলেন, ‘বিএমআরসি চূড়ান্ত অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। এখন টিকা কী প্রক্রিয়ায় আনা হবে, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য কত ভলান্টিয়ার নিয়োগ দেওয়া হবে ইত্যাদি প্রস্তুতি সাপেক্ষে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে নথিপত্র উপস্থাপন করা হবে। অধিদপ্তরের অনুমোদন পাওয়ার পর তারা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যাবে।’

করোনা মোকাবিলায় ভারতের নিজস্ব প্রযুক্তি ও উদ্যোগে তৈরি প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র টিকা কোভ্যাক্সিন। ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যভিত্তিক ওষুধ ও টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেক এ টিকার উদ্ভাবক। ২৪ বছরের পুরোনো প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেক কোভ্যাক্সিন ছাড়াও এ পর্যন্ত ১৬টি টিকা প্রস্তুত করেছে এবং ১২৩টি দেশে সেসব টিকা রপ্তানি হয়।

চলতি বছর ৩ জানুয়ারি জরুরি প্রয়োজনে এই টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই)।

২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এ কর্মসূচিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে করোনার টিকা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভারতীয় সংস্করণ কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় কোভিশিল্ডের প্রস্তুতকারী কোম্পানি হলো ভারতীয় টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট, যা বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান।

ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন টিকার মূল উপাদান মৃত বা নিষ্ক্রিয় করোনাভাইরাস, যা নিরাপদে মানবদেহে প্রবেশ করানো যায়। ভারত বায়োটেককে মৃত করোনাভাইরাসের নমুনা সরবরাহ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি।

গত জুলাইয়ের প্রথম দিকে কোভ্যাক্সিনের চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভারত বায়োটেক। সেখানে দেখা যায়, কোভ্যাক্সিনের দুই ডোজ মানবদেহে করোনা বা এ জাতীয় উপসর্গজনিত অসুখের বিরুদ্ধে সার্বিকভাবে ৭৭ দশমিক আট শতাংশ প্রতিরোধী শক্তি গড়তে সক্ষম।

ভারত ছাড়াও ব্রাজিল, ফিলিপাইন, ইরান, মেক্সিকোসহ ১৬টি দেশে অনুমোদন পেয়েছে কোভ্যাক্সিন। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারবিষয়ক ছাড়পত্র পাওয়ার জন্যও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারত বায়োটেক।

তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে কোভ্যাক্সিনের কোনো ডোজ আসেনি। চলতি বছর জানুয়ারিতে বাংলাদেশে কোভ্যাক্সিনের ট্রায়াল চালানোর অনুমতি চেয়েছিল ভারত বায়োটেক। তবে বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে সে সময় এ আবেদনের পক্ষে ইতিবাচক বা নেতিবাচক কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network