আপডেট: আগস্ট ২৮, ২০২১
বরিশাল ব্যুরো
পথশিশু সৃষ্টির উৎস স্থল বরিশাল বিভাগ। এক সমীক্ষায় এ তথ্য পাওয়া গেছে। পিতা-মাতার বহুবিবাহ, দারিদ্র, দূর্যোগ, ভূমিহীন হওয়া সহ বিভিন্ন কারণে শহর মুখি হওয়ার কারণে শিশুরা পথ শিশুতে পরিনত হচ্ছে। তারা লঞ্চ টার্মিনাল, খোলা আকাশের নীচে, রাস্তার উপরে, মার্কেট, বাস ষ্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে তারা দিন জাপন করছে। পেশা হিসেবে বাধ্য হয়ে বেছে নিচ্ছে ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করা, ভিক্ষা, পরিবহণ সম্পর্কিত কাজ, হকার, ক্ষুদ্র ব্যবসা মতো কাজে। কন্যা শিশুরা সবচেয়ে বেশী যৌন হয়রানী ও শোষনের শিকার হচ্ছে। এক গবেষনায় দেখে গেছে, ৫১ ভাগ পথশিশু অন্যদের কাছ থেকে গালিগালাজ শুনে থাকে। শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে ২০ ভাগ শিশু। এছাড়া যৌন হয়রানীর শিকার হচ্ছে ৪৬ ভাগ কন্য পথশিশু। ঢাকা আহছানিয়া মিশন ও ষ্ট্রীট চিল্ড্রেন এক্টিভিস্টস নেটওয়ার্ক, স্ক্যান বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে বরিশালে েেইন্ট বাংলাদেশের কার্যালয়ে পথশিশু টাস্কফোর্স এডভোকেসী একশন প্ল্যান তৈরীর লক্ষ্যে একটি পরামর্শ সভায় এ তথ্য উঠে আসে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক শহীদুল ইসলাম। স্ক্যান বাংলাদেশের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপস্থিত ছিলেন বরিশালের সহকারী পুলিশ সুপার ফরহাদ সরদার ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক দিলারা খানম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে শহীদুল ইসলাম বলেন, সরকার পথশিশু বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহন করেছে, শিমুদেও সুরক্ষায় সরকারী ও বেসরকারী সংগঠনকে একযোগে কাজ করা প্রয়োজন। বক্তব্যে তিনি বরিশালে কর্মরত সকল সরকারী ও বেসরকারী সংগঠন গুলেকে নিয়ে একটি কমিটি করার প্রস্তাব করেন, এবং জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আগামী মিটিংএ এই বেসরকারী সংগঠনগুলোকে প্রস্তাব উপস্থাপনের প্রস্তাব করেন। বিশেষ অতিথি ফরহাদ সরদার বলেন, পথশিশুদের প্রতি নির্যাতন ও শোষন বন্ধে শীঘ্রই লঞ্চ টার্মিনালের সাথে যুক্ত সংগঠনগুলোকে নিয়ে একটি সভা করা হবে। পথশিশু টাস্কফোর্সের সদস্যরা জানান, লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায় শিশুরা বিভিন্ন ধরনের শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার, তিনবেলা খাওয়ার জন্য ভিক্ষাবৃত্তিতে যুক্ত হতে বাধ্য হচ্ছে, থাকার কোন যায়গা নাই, অর্জিত অর্থও জমা করতে পারে না, চুরি হয়ে যায়। এ অবস্থা হতে উত্তরনে সকলের সহযোগীতা করার আহ্বান করেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, স্ক্যান বাংলাদেশের সহ-সভাপতি আফতাবুজ্জামান, এক রঙা এক ঘুড়ীর নির্বাহী পরিচালক নীলসাধু, ঢাকা আহছানিয়া মিশনেরর প্রতিনিধি নাজনীন শবনম, সেইন্ট বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গির কবীর, সিআরএসএস এর নির্বাহী পরিচালক রবিন বল্লভ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্ক্যান বাংলাদেশের সম্পাদক মনরিুজ্জামান। ##