আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩, ২০২১
নিউইয়র্কে ঘূর্ণিঝড় আইডা পরবর্তী ভয়াবহ বন্যায় এক শিশুসহ এখনও পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছে। বন্যার পানিতে অনেক মানুষ তাদের বাড়ির বেসমেন্টে আটকা পড়েছে। পানির তোড়ে ভেসে যাওয়া গাড়ির ভেতর থেকে কয়েকজন মরদেহ উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী বাহিনী।
তবে জ্যাকসন হাইটসসহ বাংলাদেশি অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায় এখন পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বন্যার ভয়াবহতায় বিদ্যুৎ পানি ও গ্যাসে বিচ্ছিন্ন রয়েছে বহু এলাকা।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যে মারা গেছেন ২৩ জন। সেখানকার গভর্নর ফিল মারফি বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেলে বলেন, যারা মারা গেছেন তাদের অনেকেই গাড়িতে আটকা পড়েছিলেন। বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় তারা গাড়ি থেকে বের হতে পারেননি।
এমন পরিস্থিতিতে নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সির গভর্নররা সেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। নিউইয়র্ক সিটির মেয়র বিল ডি ব্লাজিও এই পরিস্থিতিকে বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় বলে অভিহিত করেছেন।
এদিকে বহু বাড়ির নিচতলায় পানি ঢুকে পড়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কয়েক হাজার বাংলাদেশি ভুগছে খাবার সংকটে। বাংলাদেশী অধ্যুষিত জ্যামাইকায় ৫ শতাধিক বাড়ির দেয়াল ভেংগে পানি ঢুকে পড়েছে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পাতাল রেল স্টেশনে বন্যার পানি ঢুকছে। পানি ঢুকছে মানুষের বাড়িতেও। ফলে অধিকাংশ পাতাল ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টিতে সড়ক ও মহাসড়ক ঢুবে যাওয়া হাজার গাড়ি পানিতে ভেসে গেছে। নিউইয়র্কের ডেপুটি গভর্ণর সিটি মেয়র ও মূলধারার জনপ্রতিনিধিরা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছেন
নিউইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্ক এলাকায় মাত্র এক ঘণ্টায় ৮ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পাশাপাশি রাস্তায় জরুরি নয় এমন যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে নিউইয়র্ক ও নিউ জার্সির সঙ্গে উড়োজাহাজ ও রেলযোগাযোগ।
যুক্তরাষ্ট্রের বন্যার পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে এমন দুর্যোগ মোকাবিলায় অবশ্যই ভালো প্রস্তুতি রাখতে হবে।