আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
“অনেক সংস্থা থেকে নাম নেয় বলে কিছু দেবে, অথচ দেয় না,, কিন্তু আপনারা যে খোঁজ খবর নেন, বাসায় আসেন, এগুলা কয় জনে করে। তোমরা যে ভালবাসে আমাদের কাছে আসো এটাই তো আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। এখন আমাদেরও মনে হয় আমাদের পিছনে কেউ আছে।”
কথা গুলো বলছিলেন বরিশাল হিজরা জনগোষ্ঠীর গুরু মা কবরী।
ঈশ্বরেরই সৃষ্টি কিছু রক্ত-মাংসের মানুষ, যারা আর পাঁচ জন সাধারণ মানুষের মতোই স্বাভাবিক। চোখ, কান আছে, তারা কথাও বলতে পারে। তবুও আর পাঁচজনের মতো পরিবার-সমাজ থেকে এরা পায় না সম্মান, পায় না শ্রদ্ধা- ভালবাসা। সমাজ থেকে এককোনে ছুড়ে ফেলে রাখা হয়। তুলে দেওয়া হয় সভ্য সমাজের উচুঁ এক দেয়াল। বঞ্চিত করা হয় বেচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগটুকু থেকেও। তখনই জীবন বাচানোর তাগিদে রাস্তায় তারা নেবে আসে, হাত পাতে দেয়াল তুলে দেওয়া সেই সভ্য সমাজের মানুষদেরই কাছে। অথচ তখনো শুনতে হয় কুটক্তি। সেই অবহেলী মানুষ গুলোই হিজরা জনগোষ্ঠী।
সৃষ্টি কাল উৎযাপন উপলক্ষ্যে মাস ব্যপি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ১১ সেপ্টেম্বর’২১ তারিখে হিজরা জনগোষ্ঠীর সাথে বরিশাল সাধু পিতরের ক্যাথিড্রাল ধর্মপল্লীর BCSM ইউনিট সদস্যদের জীবন সংলাপ হয়। তৃতীয় বারের মতো তাদের সাথে আমরা দেখা করা হয় এবং বর্তমানে পরিস্থিতে তাদের জীবন ধারন সম্পর্কে ও সমাজের কাছে থেকে তাদের আশা-প্রত্যাশা নিয়ে আলোচনা করা হয়। তারা তুলে ধরে তাদের জীবন সংগ্রামের কথা।
সমাজ যেহেতু তাদের দূরে ঠেলে দিয়েছে, তারা প্রত্যাশা করে সমাজই তাদের সামনের সারিতে তুলে এনে প্রাপ্য সম্মান দেবে।
আমরা যুবা ভাই-বোনরাও প্রচেষ্ঠা করব তাদের এই আশার কথা সকলের কাছে তুলে ধরতে।
উক্ত কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন সাধু পিতরের ক্যাথিড্রাল ধর্মপল্লীর সহকারী পালপুরোহিত শ্রদ্ধেয় ফাদার লরেন্স লেকাভালী গোমেজ, ইউনিট প্রতিনিধি মিস্ সেবাষ্টিনা শাওলী বাড়ৈ সহ অন্যান্য সদস্যরা। যুবাদের পক্ষ থেকে গুরু মার হাতে শ্রদ্ধেয় ফাদার ১৫ টি শাড়ি উপহার হিসেবে তুলে দেন।