আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক
বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার সাতলায় কয়েকটি স্পটে চলছে অবাধে জমজমাট তিন কার্ড জুয়ার আসর। গোপন সূত্রে জানা যায়, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা একটি মহলের নেতৃত্বে অনৈতিকতার তিন কার্ডের জুয়া বোর্ড পরিচালনা করছে এলাকার শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
এলাকার উঠতি যুবক, আলোচিত জুয়াড়িরা এখানে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। দুর-দূরান্ত থেকে আসা জুয়াড়িরা এখানে লাখ লাখ টাকার হাত বদল করছে এবং প্রতিদিন এ চক্রের ফাঁদে পড়ে অনেকেই টাকা খুইয়ে হচ্ছেন নিঃস্ব। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা একটি সংঘবদ্ধ চক্র মিলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চালাচ্ছে নিষিদ্ধ জুয়ার আসর। এ জুয়াকে কেন্দ্র করে স্পটে নেশা গ্রহণ সমান তালে চলায় জুয়া ও মাদকের মোহে পড়ে অনেকে বসছেন পথে। চলমান জুয়া ও মাদকের আসর নিয়ে এ অঞ্চলের অভিভাবক ও তাদের পরিবার উদ্ধিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের জুয়ার আসরের একটি এক্সক্লুসিভ ভিডিও হাতে আসে। ভিডিও সূত্রে ঘটনাস্থলে সরোজিনে উপস্থিত হয়ে জানা যায়, ৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সাতলা গ্রামের মৃত. নূর হোসেন মিয়ার ছেলে অদুত মিয়া(৪০)’র বাড়িতে তিনি সহ নিয়মিতের মতোই গত ১৩ সেপ্টেম্বর সোমবার রাত আনুমানিক ৯টার সময় স্থানীয় জুয়ারি ১. ফয়সাল সরদার(২৭), পিতা. তৈয়ব আলী সরদার, ২. আনোয়ার বেপারি, পিতা. মোঃ রব বেপারি, ৩. কাওসার মিয়া(২৩), পিতা. হারেস মিয়া সহ অজ্ঞাত ২-৩ জন এসে তিন কার্ড খেলা শুরু করলে, স্থানীয় ও পার্শবর্তী গোলাম রাব্বী(১৮), পিতা. মোঃ জাকির হোসেন মিয়া, ও বন্ধুদের সহযোগিতায় ওই সময়ে একটি জুয়ার আসরের ভিডিও চিত্র ধারন করলে এনে নিয়ে দুই পক্ষে মারামারি ঘটনা ঘটে।
এব্যাপারে রাব্বি’সহ তার বন্ধুরা জানায়, “বাড়ির পাশে নিয়মিত জুয়ার আসর বসানো হয়, তাই গোপনে ভিডিও করতে গেলে বুঝে ফেলে জুয়ারিরা ডাকাত বলে আমাদের উপর হামলা চালায় ও মারধর করে।”
অন্যদিকে অভিযুক্ত জুয়ার আসর মালিক অদুত জানায়, “পাশের জঙ্গলেই খেলা হয়, মানা করলেও কেউ শোনে না, তবে বৃষ্টির কারনে আমার বাসার পিছনে বসছে তারা, এরমধ্যে রাব্বি সহ পোলাপান খোট খাওয়ার জন্য আসে, মোবাইল টাকা ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করে।”
এঘটনার পর দিন গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার উজিরপুর মডেল থানায় গোলাম রাব্বীর পিতা মোঃ জাকির হোসেন মিয়া ও অদুত মিয়া পৃথক পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এব্যাপারে সাতলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ শাহীন হাওলাদার বলেন, ঘটনাটি জেনেছি এবং ভিডিও দেখেছি এতে আমি মনে করি দুই গ্রুপই অপরাধী। এব্যাপারে উজিরপুর থানা পুলিশ জানান তদন্ত সাপেক্ষ দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।