আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১
মোঃ আবদুর রহিম সজল, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে উপজেলা পরিষদ গেট থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যন্ত সড়কটি (হাসপাতাল সড়ক) এখন উপজেলাবাসীর দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক পসলা বৃষ্টি হলেই গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটির প্রবেশদ্বার কাদা আর ঘোলা পানিতে একাকার হয়ে থাকে, সেখানে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। মুমূর্ষু রোগীদের নিয়ে এই ময়লা পানির ভেতর দিয়ে মানুষকে হাসপাতালে যেতে হচ্ছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে রোগী ও তাঁদের স্বজনরা।
এছাড়াও সড়কটির দুপাশে রয়েছে- উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়, রিসোর্স সেন্টার, ডাকঘর, বিআরডিবি কার্যালয়, সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কার্যালয়, ৫০০ আসন বিশিষ্ট উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়াম ও একটি বেসরকারি ক্লিনিক। প্রতিদিন এই সড়কটি ব্যবহার করে প্রায় সহস্রাধীক লোক এসব প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে আসে। কিন্তু সড়কটির এমন বেহাল দশার কারনে সেবা নিতে আসা মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় ভেঙ্গে গিয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচলেও বিঘ্নতা সৃষ্টি হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কটির প্রবেশদ্বার সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কার্যালয়ের একমাত্র ফটক এবং উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামের প্রধান ফটকের সামনে কাদা আর ঘোলা পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সকালে বৃষ্টি হলে সারা দিনে আর সে পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এটি ছাড়া উপরোক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাওয়া-আসার বিকল্প কোন সড়ক নেই। তাই এই দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানির উপর দিয়েই মানুষ যাওয়া-আসা করছে। এছাড়াও সড়কটি বিভিন্ন জায়গায় ছোটবড় খানাখন্দ দেখা গেছে এবং হাসপাতাল ভবনের সামনেও বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে।
হাসপাতালে আসা কয়েকজন রোগী বলেন, ডাক্তার দেখাতে হাসপাতাল যাওয়ার সময় কাপড় গুটিয়ে যেতে হয়েছে। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা পাইনি! হঠাৎ পাশ দিয়ে একটি গাড়ি এসে কাদা পানি ছিটিয়ে দেয়। এতে আমাদের জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যায় এবং ময়লা পানি লাগায় এখন পা চুলকায়। এখানে দীর্ঘদিন ধরে সামান্য বৃষ্টি এলেই এভাবে পানি থাকে। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কের প্রবেশদ্বারের এই জলাবদ্ধতা নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো মাথাব্যথা নেই! এটা ভাবা যায় না।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ দিলরুবা ইয়াসমীন লিজা বলেন, রাস্তাটির ব্যাপারে মাসিক সমন্বয় সভায় উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়কে অবহিত করেছি। তিনি খুব শীঘ্রই রাস্তাটি করে দেয়ার জন্য আশ্বস্ত করেছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী শেখ আজিম-উর রশিদ বলেন, এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো বরাদ্দ পাইনি। আমরা চেষ্টা করতেছি সামনের এই অর্থ বছরে রাজস্ব অথবা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় রাস্তাটি করে দেয়ার জন্য।