আপডেট: অক্টোবর ৮, ২০২১
ডেস্ক রিপোর্ট:
শিশুদের ক্ষতি, মানুষের মধ্যে বিভাজন ও গণতন্ত্রকে দুর্বল করছে বলে অভিযোগ করেছেন জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেন। মার্কিন সিনেটে দেয়া বক্তব্যে সাবেক ওই কর্মী বলেন, সুচিন্তিতভাবে দিনের পর দিন অন্যায় করে যাচ্ছে ফেসবুক, যা নারী ও শিশুদের ক্ষতি করছে।
হাউগেন মঙ্গলবার ক্যাপিটল হিলের শুনানিতে ফেসবুকের সমালোচনা করেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
ফেসবুকের ব্যবসা কাঠামো ও অ্যালগরিদমের প্রশ্নে হিসেবে মার্ক জাকারবার্গের একচ্ছত্র আধিপত্য, বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে ফেসবুকের মিথ্যাচার, ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা, পণ্য নিরাপত্তা ও তথ্যের সুরক্ষাবিষয়ক মার্কিন সিনেট উপকমিটির সামনে বক্তব্য দেন হাউগেন।
লিখিত বক্তব্যে হাউগেন বলেন, আমি যা করেছি, তা সঠিক এবং সাধারণের ভালোর জন্য বলেই আমার বিশ্বাস। তবে আমি জানি, ফেসবুকের সম্পদের শেষ নেই, যা ব্যবহার করে আমাকে নিঃশেষ করে দিতে পারে। যত দিন ফেসবুক আড়ালে কাজ করে যাচ্ছে, তত দিন তারা কারো কাছে জবাবদিহি করবে না।’ সে কারণেই তিনি সামনে এসেছেন।
এর আগে ফেসবুকের হাজারো পৃষ্ঠার গবেষণাপত্র ও নথি ফাঁস করেছেন সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেন। এই গবেষণাগুলো ফেসবুক নিজস্ব খরচে অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য করেছিল। ফেসবুক ছাড়ার পর সোমবার তিনি মার্কিন টিভি চ্যানেল সিবিএসের ‘সিক্সটি মিনিটস’ অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে আসেন।
ফেসবুকের ৩৭ বছর বয়সী সাবেক এই কর্মী প্রতিষ্ঠানটির মিথ্যা তথ্যের প্রসার রোধে কাজ করা দলটিতে পণ্য ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ফেসবুকের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটিতে আর কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেন। ফেসবুক ছাড়ার আগে বেশ কিছু অভ্যন্তরীণ নথি সঙ্গে নিয়ে যান তিনি। নথিগুলো প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে দিলে তিন সপ্তাহ ধরে পর্যায়ক্রমে প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমটি, যা ‘ফেসবুক ফাইলস’ হিসেবে পরিচিতি পায়।
সিক্সটি মিনিটস অনুষ্ঠানে হাউগেন বলেন, ‘নথিগুলো থেকে জানা যায়, ফেসবুক যে মানুষের ক্ষতি করছে, সহিংসতা ও মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে তা শীর্ষ নির্বাহীরা জানতেন। তবে জেনেও কোনো ব্যবস্থা নেননি। উল্টো প্রমাণ লুকানোর চেষ্টা করেছেন।’
সিক্সটি মিনিটস অনুষ্ঠানটি প্রচারের পর ফেসবুকের এক মুখপাত্র সিএনএন বিজনেসকে বলেন, ‘ভুয়া তথ্য ও ক্ষতিকর কনটেন্টের প্রসার রোধে আমাদের অগ্রগতি নিয়মিত। খারাপ কনটেন্ট ছড়ানোয় আমরা উৎসাহ দিই, এমনটা বলা সত্য নয়।
২০১৯ সালে ফেসবুকে ক্যারিয়ার শুরু করেন ফ্রান্সেস হাউগেন। এর আগে কাজ করেছেন গুগল ও পিন্টারেস্টে।