আপডেট: অক্টোবর ১৩, ২০২১
ঝালকাঠির নলছিটিতে জমি দখল করতে বাবা ছেলেকে কুপিয়ে-পিটিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের দপদপিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলো মৃত আব্দুল হাকিম খানের ছেলে আবুল বাশার খান এবং আবুল বাশারের ছেলে মাইদুল ইসলাম লিটু।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা আহতদের উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
হামলায় লিটুর মাথার উপরে ধারালো অস্ত্রের মারাত্মক জখম এবং আবুল বাশারের চোখের নিচে জখম রয়েছে।
এদের মধ্যে লিটুর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তবে অবস্থার অবনতি হলে যেকোনো সময় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে সার্জারি ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আহত আবুল বাশার জানান, আবুল বাশারের পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে প্রতিবেশী মৃত মোবারক খানের ছেলে চাচাতো ভাই সেলিম খান ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে বিরোধ চলে আসছে।
আবুল বাশার এর জমি জোরপূর্বক জবর দখল করার চেষ্টা চালিয়ে আসছে প্রতিপক্ষ সেলিম খান ও তার তিন ছেলে জিয়া, হীরা, জুবায়েরসহ তাদের সহযোগীরা।
পাশাপাশি তারা জমি দখল করতে প্রায় সময় আবুল বাশার ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে খুন-জখমের হুমকি দেয়।
বিষয়টি নিয়ে এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সহ প্রশাসন উভয় পক্ষকে নিয়ে সালিস মীমাংসায় বসার জন্য ডাকা হলেও সেলিম ও তার সন্ত্রাসী তিন পুত্র মীমাংসা কে উপেক্ষা করে।
ঘটনার দিন সন্ধ্যা ছয়টা আবুল বাশার তার জমিতে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার সময় সেলিম খান জিয়া খান, হীরা, জুবায়ের সহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়।
আবুল বাশার ও তার ছেলে মাইদুল ইসলাম লিঠু প্রতিবাদ করলে সেলিম খানের সাথে দ্বন্দ্ব হয়।
একপর্যায়ে সেলিম খান, জিয়া, হীরা যুবায়ের এবং তাদের সহযোগী মারুফ, রনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাইদুল ইসলাম লিটুকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। তাকে বাঁচাতে লিটুর বাবা আবুল বাশার বাঁচাতে আসলে তাকে কুপিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক শেবাচিমে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে দপদপিয়া ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সোহরাব হোসেন বাবুল মৃধা জানান, হামলার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের হাসপাতালে পাঠিয়েছি। কিভাবে কেন হয়েছে তা ভালোমতো জানতে পারিনি। তবে এমন অপরাধের শাস্তি হওয়া উচিত।
নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ আতিয়ার হোসেন জানান, দপদপিয়া মারামারির ঘটনার সংবাদ শুনেছি, বিস্তারিত জানিনা, তবে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।