আপডেট: অক্টোবর ১৫, ২০২১
বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি
বাকেরগঞ্জের গরু চোরের সংঘবদ্ধ একটি বড় চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। সম্প্রতি উপজেলায় গরু খামারে ডাকাতি ও কৃষকের গরু চুরির ঘটনা বেড়ে গেলে অভিযানে মাঠে নামে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ। ১৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ওই গরু চোর সিন্ডিকেটের মূল হোতা সোহাগ হাওলাদারকে গ্রেফতার করেন।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে তার কাছ থেকে চক্রের কয়েক সদস্যদের নাম জানতে পেরেছেন। তাদেরকেও গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে। থানা অফিসার ইনচাজ মোঃ আলাউদ্দিন মিলন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
থানা সুত্রে জানা যায়, গত ২৯ আগস্ট সকাল অনুমান ৭ টার সময় রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের নন্দপাড়া গ্রামের শাহজাহান সরদারের একটি বাছুর গরু তার বাড়ির সামনে থেকে ঘাষ খাওয়ানোর সময় চুরি হয়। পরবর্তীতে তিনি লোক মারফত খবর পায় রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের দাওকাঠী গ্রামের জাহিদ হাওলাদারের পুত্র মাহাবুব হাওলাদার তার বাছুরটি চুরি করে বাহাদুর গোহাটে বিক্রি করার জন্য নিয়ে গেছেন। এ খবর পেয়ে তিনি পুলিশ নিয়ে গিয়ে বাছুর গরুটিসহ চোর মাহাবুব আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহাবুব জানায় তার সাথে অজ্ঞাতনামা আরও ৩-৪ জন চোর জড়িত রয়েছে। গরু চুরির এ ঘটনায় গত ২৯ আগস্ট থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং-১৪। এ মামলার তদন্ত করেই পুলিশ গরু চোর সিন্ডিকেট হোতা সোহাগ হাওলাদারকে গ্রেফতার করে। সোহাগ হাওলাদার দাওকাঠী গ্রামের কেরামত হাওলাদার ওরফে কালু হাওলাদারের পুত্র।
এছাড়াও সম্প্রতি উপজেলায় গরু চুরির আরও কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশের একটি টিম অভিযানে মাঠে নামে এবং একপর্যায়ে গরু চোরের একটি বড়ো চক্রের সন্ধান পায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই মাইনুল জানান, গরু চোর চক্রের হোতা গ্রেফতারকৃত সোহাগ হাওলাদাররা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খামার ও কৃষকদের গরু চুরি করে কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপে করে অন্যত্র বিক্রি করা ছাড়াও গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করে আসছিল। এ গরু চোর সিন্ডিকেটের সাথে আরও ১৫/২০ জন জড়িত রয়েছে। চক্রের অপর পলাতক সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।