২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শিরোনাম
মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই শিক্ষার মান নেমে যাওয়ায় উদ্বেগ শিক্ষার মান উন্নয়ন না হলে শুধু বদলী নয় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে-মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন পাঠ করলো ৭’শ শিক্ষার্থী

মির্জাগঞ্জে নিষেধাজ্ঞার ১৮ দিনেও চাল পায়নি জেলেরা

আপডেট: অক্টোবর ২১, ২০২১

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

প্রতিনিধি, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী): মা ইলিশ সংরক্ষণে নিষেধাজ্ঞার ১৮ দিন পার হলেও ত্রাণের চাল পায়নি মির্জাগঞ্জের জেলেরা। ফলে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫টি ইউনিয়নের তালিকাভূক্ত প্রায় দেড় হাজার জেলে পরিবার মানবেতর জীবন-যাপন করছে। শুধুমাত্র দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের ২শত ৭৩ জন জেলে পরিবারকে চাল দিতে সক্ষম হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বাকি ইউনিয়নগুলোর জেলেরা এখনও চাল পায়নি।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মির্জাগঞ্জের ছয়টি ইউপিতে আগামী ২৮ নভেম্বর ভোট গ্রহন হবে। এতে উপজেলার ছয়জন চেয়ারম্যানই দলীয় নৌকা প্রতীক পেতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ করে জমা প্রদানের জন্য সকলে ঢাকায় অবস্থান করছেন। এজন্য সময় মত জেলেদের চাল দিতে বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানাযায়।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ২ হাজার ১৬ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। এর মধ্যে এক হাজার ৬শত ২৮জন জেলে ত্রাণের চাল পাওয়ার তালিকায় রয়েছেন। উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মাধবখালী ইউনিয়নে তালিকা ভূক্ত জেলে রয়েছেন একশত ৭৭জন, মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নে পাঁচশত জন, আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নে ৫৮ জন, দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নে দুইশত ৭৩ জন, কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নে দুইশত ৬৮জন, মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নে তিনশত ৫২ জন। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে তালিকাভূক্ত প্রত্যেক জেলে পরিবারকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা জেলে মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ আশরাফ আলী আকন বলেন জানান, জেলেদের একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম হলো মাছ শিকার। ফলে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে জেলেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে থাকে। এই মুহূর্তে ২০ কেজি করে চাল পেলেও জেলেরা কয়েকদিন ভালোভাবে চলতে পারতো। চেয়ারম্যানরা এখন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত আর অন্যদিকে জেলেরা না খেয়ে মরতেছে। নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনের ১৭-১৮ দিন পার হলেও চাল পায়নি জেলেরা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.রফিকুল ইসলাম বলেন, জেলেদের ত্রাণের চাল দেওয়ার জন্য ডিও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানরা যে কোন সময় চাল নিয়ে জেলেদের মাঝে বিতরণ করতে পারেন।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.তানজিমুল ইসলাম বলেন, ২০ অক্টোবরের মধ্যে সকল জেলেদের মাঝে চাল বিতরণের জন্য বলা হয়েছে। সোমবার দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নে বিতরণ করা হয়েছে। অন্যান্য ইউনিয়নে ও দ্রুত চাল বিতরণের জন্য চেয়ারম্যানদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে।
কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, জেলেরা এখন পর্যন্ত আমার কাছে তালিকা জমা দেয়নি, তাই চাল দিতে পারিনি। তালিকা জমা দিলে ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে চাল দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই চাল বিতরণ করা বাধ্যতামূলক।অবরোধ শুরু হওয়ার পূর্বেই এই তালিকা মৎস্য অফিস ইউনিয়ন কমিটির নিকট থেকে সংগ্রহ করবে। এখনও চেয়ারম্যানরা তালিকা পায়নি, এটি তাদের উদাসীনতা। আগামী তিনদিনের মধ্যে সকল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এই বিতরণ কার্যক্রম শেষ করবেন মর্মে জানিয়েছেন। ব্যর্থতায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network