আপডেট: অক্টোবর ২৮, ২০২১
ডেস্ক রিপোর্ট:
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাওয়ার প্লে-তে ৩ উইকেটে ২৭ রান, ১২০ বলের খেলায় ৫২টা ডট। এই পরিসংখ্যানে কি ম্যাচ জেতা যায়? টপ অর্ডারের ব্যর্থতা আরো একবার দাড় করিয়েছে বিপদের মুখে। ওখানেই একরকম ম্যাচ হাতছাড়া টাইগারদের জন্য। আর পরিস্থিতি বুঝে শট সিলেকশনের গলদ লম্বা করেছে হতাশার তালিকা।
আবুধাবিতে পাওয়ার প্লে-র ভোগান্তি চরমে, ফিল্ড রেস্ট্রিকশনের ফায়দা নেয়া দূরের কথা, দ্রুত উইকেট হারিয়ে প্রতিপক্ষকে মোমেন্টাম উপহার দিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুর ছয় ওভারেই ম্যাচ হেলে যায় ইংল্যান্ডের দিকে।
টেম্পারমেন্ট-স্কিলের দিকে তাকানো যাক, দুই বাউন্ডারিতে লিটন যখন এগিয়ে ছিলেন। মাথা খাটিয়ে মঈন আলি দিয়েছেন জবাব। লেন্হের হেরফেরে ফাঁদ তৈরি করেছেন, তাতে ধরা দিয়েছে লিটন।
অ্যাগ্রেশন ভালো, কিন্তু সাকিবের হাফ হার্টেড শটের কি মানে ওই সময়ে? ওটা যেন ক্লান্তির-ই বহিঃপ্রকাশ। ওই উইকেট, বাংলাদেশ ইনিংসের টার্নিং পয়েন্ট ধরাই যায়।
মুশফিকের কথাই ধরা যাক, দল যখন মহাচাপে, মুশি রিভার্স সুইপের ঝুঁকি নিলেন। প্রথমবার অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন, মিলসের ওই ক্যাচটা হয়ে গেলে কি হতো?
রিভার্স খেলতে পরের চেষ্টায় ঠিকই আটকেছেন, যখন সেট হয়ে ভালো কিছু করা ছিলো বড্ড জরুরি। স্টাম্পের বলে এক্সট্রা ইনোভেশন, কি খুবই দরকার ছিলো?
টি-টোয়েন্টিতে স্কুপ-রিভার্স শটের প্রয়োজন আছে, নেট সেশনে সেটা শেখানোও হয়। কিন্তু কখন-কিভাবে কোন বলে তা করবেন, মুশফিক-মাহেদীরা কি আদৌ ধরতে পারছেন?
স্পিনিং কন্ডিশনে অভ্যস্ত বাংলাদেশ, ওই স্পিনেই যেন হাসফাঁস ছুটে যায়। মঈন-লিভিংস্টোনরাও তাই দাপট দেখাতে পারে ওদের বিপক্ষে। সবমিলিয়ে ৫২টা ডট বল টাইগার ইনিংসে, টি-টোয়েন্টি ম্যাচে এর চেয়ে খারাপ আর কি হতে পারে!
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, অবশ্যই আমরা ব্যাটিং পারফর্মেন্সে হতাশ। ভালো উইকেট ছিলো, কোথাও কোন পার্টনারশিপ হয়নি। এ রকম কন্ডিশনে ভালো শুরু করতে না পারা, আরো কঠিন করেছে। নতুন কোরে ভেবে ভালো প্ল্যান নিয়ে আসতে হবে।
আদিশ রশিদকে দুই ছক্কা হাঁকানো নাসুম-ই তো দেখিয়ে দিলেন, ভয়ে গুটিয়ে থাকলেই পেয়ে বসে প্রতিপক্ষ। লড়াকু মানসিকতাই টপ লেভেল ক্রিকেটে জায়গা দিতে পারে!