আপডেট: নভেম্বর ২০, ২০২১
বরিশাল জেলার গৌরনদী বিভিন্ন যায়গায় শীতকে সামনে রেখে বাড়ি বাড়ি ছুটছেন লেপ-তোশক তৈরির কারিগররা। শীতের আগমনী বার্তা আসার সঙ্গে সঙ্গে তুলা ছাঁটাই ও লেপ-তোশক তৈরির কর্মচঞ্চলতা বেড়েছে ধুনারীদের। পৌষ ও মাঘ মাসের শুরুতেই গ্রামাঞ্চলের কেউ কেউ পুরনো লেপ ভেঙে নতুন করে বানিয়ে নিচ্ছেন আবার কেউ নতুন তুলা দিয়ে তৈরি করে নিচ্ছে লেপ, তোশক ও বালিশ।
সরেজমিন দেখা যায়, গৌরনদী,টরকী বন্দরে ছোট-বড় ২০/৩০ টি লেপ-তোশকের দোকান রয়েছে। তাছাড়া উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নের প্রতিটি বাজারে কমপক্ষে ৫/৮ টি করে দোকান রয়েছে। উপজেলায় প্রায় ৩০/ ৪০ টির মতো লেপ-তোশকের দোকান রয়েছে। প্রতি দোকানে ৩/৪ জন করে কারিগর হলেও প্রায় শতাধিক কারিগর কাজ করছে এ সব দোকানে। তবে ছোট দোকানগুলোতে মালিকই কারিগরের দায়িত্ব পালন করেন। বছরের অন্যন্য সময় বেচাকেনা কম হলেও শীত মৌসুমে এসবের বিক্রি কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা বলেন, শীতের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অর্ডার নিলেও যথাসময়ে ডেলিভারি দিতে হাঁপিয়ে উঠছেন কারিগররা। এবার তুলার দাম একটু বেশি। কালার তুলা পাইকারি প্রতি কেজি ৩৫ টাকা, মিশালী তুলা ২০ টাকা, সিম্পল তুলা ৭০ টাকা, শিমুল তুলা ২৭০ টাকা, সাদা তুলা ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, প্রতিদিন একজন কারিগর ৪ থেকে ৫টি লেপ ও ৬ থেকে ৮টি তোশক তৈরি করতে পারেন। মাঝারি ধরনের একটি লেপ বানাতে খরচ হয় দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। আর তোশক বানাতে খরচ হয় দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। তবে তুলার প্রকারভেদে লেপ-তোশকের দাম কমবেশি হয়। এবার শীত আসার অাগেই লেপ-তোশকের অর্ডার পড়তে শুরু করেছে যা বিগত বছরের তুলনায় ব্যতিক্রম। আগামী দুই মাসব্যাপী এ ব্যস্ততা থাকবে। শীত মৌসুম ছাড়া অন্য সমযে লেপ-তোশক তেমন চলে না। তখন বিভিন্ন রকম বালিশ ও কাভারের কাজ চলে। তখন কারিগরদের বেতন ও ঘরভাড়া দিতে হিমসিম খেতে হয়।