আপডেট: নভেম্বর ২০, ২০২১
নলছিটি (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
ঝালকাঠির নলছিটিতে তৃতীয় শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে (৯) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আলম খান আলো (৫০) গাঢাকা দিয়েছে। আলো উপজেলার মেরুহার গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে। সে বরিশাল পোর্ট রোডে মাছের ঘাটের লোবার সরদার।
মেয়েটির পরিবার জানায়, পড়ালেখার জন্য মেয়েটিকে নলছিটির নানা বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি কওমি মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। তাঁর বাবা বরিশালে রিকশাচালায়। মা বাবা দুজনেই বরিশালে থাকে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে আসলে নানী তাকে ভাত খেতে দিয়ে জরুরী কাজে বের হয়। এ সুযোগে আলম খান আলো ঘরের ভেতরে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। নানী এসে এ ঘটনা দেখে ফেলেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়দের মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে আলো। বৃহস্পতিবার রাতে মেয়েটির নানা বাড়িতে আলোর আত্মীয় মো. আনিচের নেতৃত্বে স্থানীয় আজিজ বক্স, আলী আকাবর ও খলিল মিমাংসার জন্য বৈঠকে বসেন। তাঁরা অভিযুক্ত আলোকেও খবর দিয়ে সেখানে আনে। বৈঠকে ধর্ষণের বিচার করা হয় ১০টি জুতার বাড়ি ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা। বৈঠক শেষে উপস্থিত লোকজনের সামনেই জুতার বাড়ি দেওয়া হয়। ৫০ হাজার টাকা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দেওয়ার কথা বলে চলে যান আলো। এর পর থেকেই আলো গাঢাকা দেয়, তাঁর সেলফোনটিও বন্ধ করে রাখে। এ ব্যাপারে মিমাংসাকারী কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।
এ ব্যাপারে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, মেয়টির বাবা মা প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করেছিল, এখন আবার ঘটনা নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে, তাই আবারো পুলিশ পাঠিয়েছি। ধর্ষণের ঘটনা কোনক্রমেই স্থানীয়ভাবে মিমাংসাযোগ্য নয়, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।