২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

গৌরনদীতে শীতের পিঠা বিক্রির ধুম

আপডেট: নভেম্বর ২১, ২০২১

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

শীতের সকালে মাটির চুলায় মায়ের হাতে বানানো ভাপা পিঠা, খেজুর রসের গন্ধ। পিঠা খেয়ে মুখ রঙিন করার এমন মধুর স্মৃতি এখন আর নেই। তবে মাটির চুলায় না হোক যন্ত্রচালিত চুলায় সেই স্বাদের পিঠা খাওয়ার ধুম পরেছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বিভিন্ন স্টেশনসহ রাস্তার পাশে ও পাড়ামহল্লায়। উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে এখন পিঠার ঘ্রাণ। এসব পিঠায় মায়ের আদর মাখা না থাকলেও আছে শহুরে ব্যবসার যত্ন। রাস্তায়, অলিগলি ও ফুটপাথে পছন্দের শীতের পিঠা খেতে পেরে খুশি উপজেলা শহরের মানুষগুলো।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার অধিকাংশ স্থানে বসেছে অস্থায়ী পিঠা বিক্রির দোকান। অল্প পুঁজি আর কম পরিশ্রমে বেশি লাভ হওয়ায় পিঠা ব্যবসায় নেমেছেন অনেকেই। দোকানগুলোয় পিঠার পাশাপাশি রয়েছে হরেক রকমের ভর্তা। প্রতিদিন বিকেল থেকে পিঠা বিক্রির ধুম পড়ে মোড়ের দোকানগুলোয়। সন্ধ্যা হলেই বেড়ে যায় ক্রেতা সমাগম, যা চলে গভীর রাত পর্যন্ত।রসুন-মরিচবাটা, ধনিয়াপাতাবাটা, শুঁটকি, কালোজিরা ও সর্ষে ভর্তাসহ নানা রকম উপকরণ মিলিয়ে বিক্রি হয় চিতই পিঠা। বিকেলের হিমেল হাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে অনেকেই তাই পিঠা খাওয়ার জন্য ভীর জমাচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানগুলোতে।
উপজেলা ঘুরে বিভিন্ন পিঠা বিক্রেতাদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, মৌসুমি এই পিঠার প্রতি বেশ আগ্রহ রয়েছে স্থানীয়দের।ফলে প্রতিদিন বিকেলে থেকে জমে উঠে পিঠার বাজার। মূলত সন্ধ্যার বাজারে পিঠার চাহিদা বেশি থাকে। প্রতিদিন কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে অনেকে ভিড় জমান দোকানে। অনেকে আবার পরিবারের সদস্যদের জন্যও একসাথে বেশি করে পিঠা নিয়ে যান। যার ফলে ভালো আয় হচ্ছে পিঠা ব্যাবসায়ীদের। শীত যত বাড়বে ততই পিঠার চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।
গৌরনদী উপজেলার টরকীর চর এলাকার পিঠা বিক্রেতা হাসান, মাহিলাড়া বাজারের নজরুল ইসলাম জানান, চিতই, কুলি, ভাপা, ডিমচিতই , তেলের পিঠা ও পাটিশাপটা পিঠার চাহিদা সবচেয়ে বেশি।এরমধ্যে চিতই ও ভাপা পিঠা পাঁচ টাকা মূল্যে বিক্রি হওয়ায় ভাপা আর চিতই পিঠার কদর এবং বিক্রি বেশি। সহকর্মীদের নিয়ে পিঠা খেতে আসা খোকন আহম্মেদ হীরা জানান, শীতের সন্ধ্যায় চিতই পিঠার সাথে সরিষা ও ধনেপাতা ভর্তার স্বাদের কারণেই আমরা প্রতিদিন পিঠা খেতে আসি।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network