আপডেট: নভেম্বর ২১, ২০২১
শীতের সকালে মাটির চুলায় মায়ের হাতে বানানো ভাপা পিঠা, খেজুর রসের গন্ধ। পিঠা খেয়ে মুখ রঙিন করার এমন মধুর স্মৃতি এখন আর নেই। তবে মাটির চুলায় না হোক যন্ত্রচালিত চুলায় সেই স্বাদের পিঠা খাওয়ার ধুম পরেছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বিভিন্ন স্টেশনসহ রাস্তার পাশে ও পাড়ামহল্লায়। উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে এখন পিঠার ঘ্রাণ। এসব পিঠায় মায়ের আদর মাখা না থাকলেও আছে শহুরে ব্যবসার যত্ন। রাস্তায়, অলিগলি ও ফুটপাথে পছন্দের শীতের পিঠা খেতে পেরে খুশি উপজেলা শহরের মানুষগুলো।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার অধিকাংশ স্থানে বসেছে অস্থায়ী পিঠা বিক্রির দোকান। অল্প পুঁজি আর কম পরিশ্রমে বেশি লাভ হওয়ায় পিঠা ব্যবসায় নেমেছেন অনেকেই। দোকানগুলোয় পিঠার পাশাপাশি রয়েছে হরেক রকমের ভর্তা। প্রতিদিন বিকেল থেকে পিঠা বিক্রির ধুম পড়ে মোড়ের দোকানগুলোয়। সন্ধ্যা হলেই বেড়ে যায় ক্রেতা সমাগম, যা চলে গভীর রাত পর্যন্ত।রসুন-মরিচবাটা, ধনিয়াপাতাবাটা, শুঁটকি, কালোজিরা ও সর্ষে ভর্তাসহ নানা রকম উপকরণ মিলিয়ে বিক্রি হয় চিতই পিঠা। বিকেলের হিমেল হাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে অনেকেই তাই পিঠা খাওয়ার জন্য ভীর জমাচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকানগুলোতে।
উপজেলা ঘুরে বিভিন্ন পিঠা বিক্রেতাদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, মৌসুমি এই পিঠার প্রতি বেশ আগ্রহ রয়েছে স্থানীয়দের।ফলে প্রতিদিন বিকেলে থেকে জমে উঠে পিঠার বাজার। মূলত সন্ধ্যার বাজারে পিঠার চাহিদা বেশি থাকে। প্রতিদিন কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে অনেকে ভিড় জমান দোকানে। অনেকে আবার পরিবারের সদস্যদের জন্যও একসাথে বেশি করে পিঠা নিয়ে যান। যার ফলে ভালো আয় হচ্ছে পিঠা ব্যাবসায়ীদের। শীত যত বাড়বে ততই পিঠার চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।
গৌরনদী উপজেলার টরকীর চর এলাকার পিঠা বিক্রেতা হাসান, মাহিলাড়া বাজারের নজরুল ইসলাম জানান, চিতই, কুলি, ভাপা, ডিমচিতই , তেলের পিঠা ও পাটিশাপটা পিঠার চাহিদা সবচেয়ে বেশি।এরমধ্যে চিতই ও ভাপা পিঠা পাঁচ টাকা মূল্যে বিক্রি হওয়ায় ভাপা আর চিতই পিঠার কদর এবং বিক্রি বেশি। সহকর্মীদের নিয়ে পিঠা খেতে আসা খোকন আহম্মেদ হীরা জানান, শীতের সন্ধ্যায় চিতই পিঠার সাথে সরিষা ও ধনেপাতা ভর্তার স্বাদের কারণেই আমরা প্রতিদিন পিঠা খেতে আসি।