আপডেট: নভেম্বর ২১, ২০২১
মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য মাধবখালি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মনিরুল ইসলাম তালুকদার ও আনারস প্রতীকের আব্দুল মালেক আকনের সমর্থকদের উপর অতর্কিত হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী মিজানুর রহমান লাভলুর ভাই কাজী মশিউর রহমান বাবলু ও তার সহযোগীরা এ হামলা করেন। এতে চশমা প্রতীকের ৪ সমর্থক ও আনারস প্রতিকের এক সমর্থক আহত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিবার (২০ নভেম্বর) রাত সাড়ে দশটায় ওই ইউনিয়নের পশ্চিম চৈতা পরানখালি কালভার্ট সংলগ্নে ও কাঠালতলী বাজার সংলগ্নে এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আরাফাত হোসেন এর কাছে রবিবার (২১ নভেম্বর) পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ দেন ওই দুই স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে দশটায় চশমা প্রতীকের সমর্থক মোঃ বাহাদুর মোল্লা ও মোঃ রাসেল তার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল। এ সময় হঠাৎ কাজী বাবলুর নেতৃত্বে ১০-১৫ টি মোটরসাইকেলে ৩০ থেকে ৪০ জন লোক এসে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে রাসেল আকন ও বাহাদুর মোল্লা গুরুতর আহত হন। এরপর তারা শোডাউন দিয়ে কাঠালতলী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে গেলে সেখানে চশমা প্রতীকের সমর্থকদের দেখতে পেলে আবার হামলা করেন। এতে ইদ্রিস ও রাশেদ নামে দুই সমর্থক আহত হন। পরে একই দিন রাত ১১ টার দিকে আরেক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মালেক আকনের সমর্থক মোঃ বেল্লাল হোসেন কেও মারধর করেন কাজী বাবলু ও তার সমর্করা।
চশমা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী মিজানুর রহমান লাভলু ও তার ভাই কাজী বাবলু প্রতিনিয়ত আমার নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে এবং আমার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালাচ্ছে। আরেক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মালেক আকন ও একই বক্তব্য দেন।
নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী মিজানুর রহমান লাভলু বলেন, স্থানীয় শিশুর হাটে নৌকার নির্বাচনী গণসংযোগ শেষে ফেরার পথে আমার কর্মী সমর্থকদের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের কথা কাটাকাটি হয়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
দায়িত্বরত রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আরাফাত হোসেন বলেন, ঘটনাটি শুনে সাথে সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, এ ব্যাপারে কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।