আপডেট: নভেম্বর ২২, ২০২১
ডেস্ক রিপোর্ট: পটুয়াখালীর বাউফলে সালিশ বৈঠকে এক কিশোরীকে জোর করে বিয়ের ঘটনায় করা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারসহ সাতজনকে অভিযুক্ত করে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে রিপোর্ট দাখিল করেন।
রোববার (২১ নভেম্বর) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তকারী কর্মকর্তা এম এ সোবাহান খান পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শাহিন হাওলাদার কনকদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও কনকদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। চলতি বছরের ২৫ জুন কনকদিয়া ইউপি কার্যালয়ে স্থানীয় এক কিশোরীর সঙ্গে এক কিশোরের প্রেমের সম্পর্কের ঘটনায় সালিশ বসে। সালিশে ওই কিশোরীকে পছন্দ হয় চেয়ারম্যানের। তিনি কাজি ডেকে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই কিশোরীকে বিয়ে করেন।
বিয়ের কাবিননামায় কিশোরীর জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয় ২০০৩ সালের ১১ এপ্রিল। কিন্তু বিদ্যালয়ের দেওয়া জন্মনিবন্ধন ও পঞ্চম শ্রেণি পাসের সনদ অনুযায়ী, তার জন্মতারিখ ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল ছিল। সেসময় এনিয়ে বিভিন্ন মহলে সমলোচনার সৃষ্টি হলে একই কাজি ডেকে ২৬ জুন কিশোরী ওই বধূকে চেয়ারম্যান তালাক দেন।
এ ঘটনায় কিশোরীর প্রেমিক (বর্তমানে স্বামী) হাফেজ মো. আল ইমরান বাদী হয়ে শাহিন হাওলাদারসহ মোট সাতজনকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত কর্মকর্তা এম এ সোবাহান খান ৭২ পৃষ্ঠার একটি তদন্ত প্রতিবেদন আজ আদালতে উপস্থাপন করেন।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এম এ সোবাহান খান বলেন, এ মামলায় আমরা আদালতে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করেন। আদালতের বিচারক পরবতী আদেশ দিবেন।