আপডেট: নভেম্বর ২৩, ২০২১
বরিশালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলায় সব অসামিকে খালাস দেয়ার আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়েছে।
আপিলের আবেদনে বলা হয়েছে, ৪০ জন আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্বেও ১৬ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন, ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ৬ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সহ একাধিক কারণে রাষ্ট্রপক্ষ ন্যয়বিচার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকার পক্ষের আইনজীবী ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড,এ কে এম জাহাঙ্গীর আজ (২৩) নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে জেলা জজ আদালতে আপিল মামলা করেন।
বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রফিকুল ইসলাম আপিলটি আমলে নিয়ে আগামী ৩০ নভেম্বর আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপি নেতা সরোয়ার আলম, মুকুল খান, হান্নান শরীফ, বদিউজ্জামান মিন্টু, আ. আউয়াল লোকমান ও ঝিন্টু তালুকদার। তার সবার বাড়ি গৌরনদী উপজেলায়।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকাররে আমলে ২০০৪ সালে ১ এপ্রিল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বরিশালের গৌরনদীতে জনসভায় যোগ দিতে ঢাকা থেকে সড়ক পথে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করেন। বেলা সাড়ে ১২ টায় গৌরনদী বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছামাত্র আসামিরা তার গাড়ি বহরে হামলা করেন।
এর আগে জনসভা স্থলের মঞ্চে হামলা ও ভাঙচুর চালায় আসামিরা। দুই হামলায় গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন আহŸায়ক কালিয়া দমন গুহ ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হক গুরুতর আহত হয়।
বিএনপি শাসনামলের অবসান হওয়ার পর ২০০৯ সালের ২০ জুলাই গৌরনদী থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ৪০ জন আসামির বিরুদ্ধে ২০১১ সালে অভিযোগপত্র জমা পড়ে। ২০১৩ সালের ১৯ মে জহির উদ্দিন স্বপনসহ ১৬ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। ওই সময় ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত। ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম শিহাবুল ইসলাম আসামিদের খালাস দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতির গাড়ি বহরে হামলা মামলার রায় ন্যায় বিচার পরিপন্থী হওয়ায় পূর্ণ বিচারের জন্যআপিল করা হয়েছে।