২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

মির্জাগঞ্জে একই পরিবারের সবাইকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে চুরি

আপডেট: ডিসেম্বর ২, ২০২১

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

প্রতিনিধি, মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী)ঃ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে খাবারের (ভাত, তরকারি বা পানি) সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে এক পরিবারের সবাইকে অচেতন করে চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ঝাটিবুনিয়া গ্রামের এ ঘটনা ঘটে।

অচেতন ব্যক্তিরা হলেন, ঝাটিবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আবুল খায়ের ব্যাপারি (৪৫), তার স্ত্রী ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোসাঃ শাহনাজ বেগম (৪০), দুই ছেলে-তামিম (১২) ও সানাউল্লাহ (১০), আপন ভাতিজা মাহমুদ(১৪), ভাতিজী রাবেয়া (২১) ও ভায়রা জ্বি মারিয়া (১৩)।

এদের সবাইকে বৃহঃবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে অচেতন অবস্থায় মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সন্ধ্যা রাতে চোর চক্রের সদস্যরা বাহির থেকে জানালার ফাকা দিয়ে খাবারের মধ্যে চেতনানাশক ঔষধ দিয়ে রাখে। পরে পরিবারের সকলে সেই খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লে মধ্য রাতের দিকে পিছনের দরজা ভেঙ্গে চোরেরা ঘরে প্রবেশ করে। এসময় শিক্ষক আবুল খায়েরের মেজ ভাইয়ের স্ত্রী (তিনি খাবার খায়নি) লাইটের আলো দেখতে পেয়ে ডাক দিলে চোরেরা তার মুখ চেপে ধরে। পরে তিনি ডাকচিৎকার দিলে চোরেরা পালিয়ে যায়। পরে তিনিও প্রতিদিনের ন্যায় স্বাভাবিকভাবে ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে তিনি ঘুম থেকে উঠে বাসার সবাইকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে। পরে বেলা গড়িয়ে গেলেও কেউ ঘুম থেকে না ওঠাও এবং পিছনের দরজা ভাঙা দেখে তারা বুঝতে পারে বাসায় চুরি হয়েছে। পরে এলাকাবাসী অচেতন ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে এবং পুলিশকে খবর দেয়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা অচেতন থাকায় কি পরিমাণ মালামাল চুরি হয়েছে তা জানা যায়নি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোঃ শামসুল ইসলাম সোহেল বলেন, হাসপাতালে ভর্তি ৭ জনের মধ্যে ২জনের অবস্থা একটু স্থিতিশীল। তাদের পূর্বের কোন রোগ না থাকলে সমস্যা হবে না। আমরা মনে করছি তাদের ঘুমের ওষুধ জাতীয় কিছু খাওয়ানো হয়েছে। আশাকরি সকলেই ২-৩ দিনের মধ্যেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যাবে।

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network