আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২২
ডেস্ক নিউজ ঃ
বাংলাদেশে প্রথম এসেছিলেন বসুন্ধরা কিংসের হয়ে খেলতে। এক মৌসুম পর আবার ফিরে আবাহনীর জার্সি গায়ে তুলেছেন রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা দানিয়েল কলিনদ্রেস। অভিষেকে বসুন্ধরার হয়ে সাফল্য পেয়েছিলেন। এবার আবাহনীর জার্সিতেও আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন। জিতেছেন দুটি টুর্নামেন্টের শিরোপা। সবশেষ ফেডারেশন কাপে টুর্নামেন্টসেরার পুরস্কার উঠেছে ৩৬ বছর বয়সী তারকার হাতে। এবার ট্রেবলে দৃষ্টি দিয়েছেন কোস্টারিকার এই উইঙ্গার।
এখন সপ্তাহখানেক ছুটি দেওয়া হয়েছে আবাহনীর ফুটবলারদের। ছুটির ফাঁকে স্থানীয় ফুটবলাররা বাড়ি ফিরে গেলেও বিদেশিরা নিজেদের ফ্ল্যাটেই সময় কাটাচ্ছেন। আগামী ১৮ জানুয়ারি থেকে আবারও অনুশীলনে ঝাঁপিয়ে পড়বেন সবাই। ফিরেই ট্রেবল জেতার মিশনে নিজেদের প্রস্তুত করবেন আবাহনীর খেলোয়াড়রা।
কলিনদ্রেস আবাহনীর সময়টা বেশ উপভোগ করছেন। সেই সঙ্গে নিজের লক্ষ্যও বলে দিয়েছেন, ‘শুরুতে বলেছিলাম, অবাহনীতে ট্রফি জিততে এসেছি। আমি আবাহনীতে দারুণ সময় উপভোগ করছি। এখানে থেকে অনেক খুশি। আমার জন্য এখন আবাহনীই সবকিছু। আর সবাই মিলে দলের জন্য ট্রেবল জিততে চাই। এটাই এখন আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য।’
তবে লিগ জেতা যে সহজ হবে না তা বুঝতে পারছেন কোস্টারিকার তারকা। তাই বলেছেন, ‘লিগে আগের চেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক বেড়েছে। পাশাপাশি লিগের মানও আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। সামনের দিনগুলোয় মাঠগুলো আরও ভালো হবে। কর্তৃপক্ষ আমাদের জন্য ভালো খেলার ব্যবস্থা করে দেবে। ঘাসের মাঠে খেলা হলে আরও ভালো হবে।’
কলিনদ্রেস এমনিতে মিডিয়া থেকে দূরে থাকতে পছন্দ করেন। মাঝেমধ্যে কথা বললে তখন বাংলায় কিছু বলার চেষ্টা করেন। এই যেমন ফেডারেশন কাপের ফাইনাল শেষে ও আবাহনীর মিলনমেলায় বাংলায় কথা বলে সবাইকে চমকে দেন।
বাংলায় কথা বলার বিষয়টি নিয়ে কলিনদ্রেসের ব্যাখ্যা এমন, ‘আমি কিছু শব্দ শিখেছি- শুভ সকাল, শুভ রাত্রি। এছাড়া যখন আমি কোনও সুপার মার্কেটে যাই, রিকশাওয়ালাদের সঙ্গে বাংলা বলার চেষ্টা করি। ডানে-বাঁয়ে, রিকশা কই, কত টাকা— এরকম কিছু শব্দ। আমি এসব উপভোগ করছি।’