আপডেট: জানুয়ারি ১৩, ২০২২
ডেস্ক নিউজ ঃ
কুমিল্লা নগরীর চর্থায় অবস্থিত কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজ ও হোস্টেল। কলেজটির দক্ষিণে কুমিল্লা জেনারেল (সদর) হাসপাতাল। পশ্চিম দিকের রাস্তা রাণীদিঘি হয়ে চলে গেছে কান্দিরপাড়ের দিকে। কলেজের একটু পশ্চিমেই সালাউদ্দিন মোড়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অবস্থিত হওয়ায় কলেজটিতে সবসময় আলো ঝলমল পরিস্থিতি বিরাজ করে। তবে বেশ কিছুদিন ধরে এই আলো ঝলমলে কলেজ হোস্টেলের মেয়েদের মধ্যে ভূত আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাত হলে তারা অদ্ভুত শব্দ শুনতে পান। এ আওয়াজ সহজে বন্ধ হয় না।
এ অবস্থার পরিত্রাণে সোমবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় হুজুর ডেকে হোস্টেলে মিলাদ পড়ানো হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হোস্টেলটির একটি ভবন পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। নড়বড়ে ভবনটিতে বৃষ্টি হলে পানি ঢুকে পড়ে। বাতাস ও ভূমিকম্পে সবাই আঁতকে ওঠে। অপরদিকে, হোস্টেলের পূর্ব দিকে বখাটেদের আনাগোনা আছে। নবাব বাড়ি ও এর আশপাশে প্রায়ই প্রকাশ্যে গাঁজার আসরও বসে। এ কারণে শিক্ষার্থীরা অদ্ভুত শব্দ শুনে থাকতে পারে বলে অনেকের ধারণা।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোস্টেলের একাধিক ছাত্রী জানান, করোনাকালে ছাত্রীরা হোস্টেলে ছিল না। তখন হোস্টেলের ভেতর থেকে অনেক ছাত্রীদের জামা-কাপড়সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি হয়। পরে বেশ কয়েকজন ছাত্রী কলেজ অধ্যক্ষের কাছে এ সমস্যার সমাধান চেয়েছেন। তবে কিছু ছাত্রীর ধারণা, এখানে আসলেই ভূতের উৎপাত আছে!
কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক জামাল নাছের বৃহস্পতিবার সকালে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মেয়েরা ভয় পেয়ে আমাকে জানিয়েছে। তাই মিলাদ পড়িয়েছি। পরিত্যক্ত ভবন ও বখাটেদের উৎপাতের বিষয়টি সঠিক নয়। হতে পারে বিড়াল কান্না করেছে অথবা অন্য কোনও কারণে শব্দ হয়।