ইমরান হোসাইন, ফুলবাড়ি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত ২০১০ সালে আশুরার বিল ও বনকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। যা পরবর্তীতে শেখ রাসেল জাতীয় উদ্যান নামকরণ করা হয়।
বিলের পূর্ব-পশ্চিমে নির্মাণ করা হয়েছে শেখ ফজিলাতুন্নেছা কাঠের সেতু । সেতুটির আকার ইংরেজি বর্ণ জেড এর মতো।
আশুড়ার বিলকে মাছের অভয়াশ্রম ও পর্যটন উপযোগি করতে পানি ধারণের জন্য ক্রসড্যাম নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু বন ও বিলের জায়গা জবর দখলকারী এলাকার কিছু লোক সেই রাবার ক্রসড্যাম কেটে ক্ষতিগ্রস্থ করে বিলে তারা ধান চাষ করে আসছে। ।
অতি সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসন মেঘা পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন । সে নকশাসহ বিভিন্ন বিষয়ক কাজ করছেন এস এ আর এম এ্যাসোসিয়েট লিঃ এর অপারেশন ডিরেক্টর ইন্জিঃ মাসুম মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। সেখানে প্রাধান্য পাবে ফুডকোর্ট,ঝুলন্ত ব্রীজ,লেকসহ আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা । সেখানে যে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে তাতে প্রধান্য পাবে বন ও বিলের জায়গা জবর দখলকারী এলাকার লোকজন এমনটিই জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।
এবিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনার চেয়ারম্যান ও সহযোগী অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার দেব বলেন স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করলে তাদের জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধি পাবে। অত্র এলাকার মানুষের বিনোদনের জায়গার অভাব এখানে জলাশয় ও বনের যে সমন্বয় তার যদি সঠিক ব্যবহার করা হয় তাহলে এখানে প্রচুর পর্যটক আসবে।মানুষের নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকতে হবে। পর্যটকদের জন্য আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। কৌশলগত কিছু পরিকল্পনা করতে হবে যেমন আধুনিক খাবার হোটেল,ঝুলন্ত ব্রীজ,আসা- যাওয়া ভিন্ন রাস্তা তাহলে এটি হতে পারে অত্র এলাকার মানুষের মুল আকর্ষণ তথা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির অন্যতম একটি মাধ্যম।
এবিষয়ে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ সোম জানান যারা এখানে চাষাবাদ করছে তাদের কোন কাগজপত্র নেই এখানে তারা দখলস্বত্ত্বে এক অপরের সাথে ষ্ট্যাম্পে লিখে জমির রদবদল করে রেজিস্ট্রিও করে না যা আইনের চোখে মুল্যহীন। তারা যদি ভুমিহীন হন তাদের অন্যভাবে পুর্ণবাসন করা যেতে পারে অথবা পর্যটনের বিভিন্ন জায়গায় তাদের পুনর্বাসন করা যেতে পারে। আমরা তাদের অংশীদার করতে চাই। তারা যদি সমঝোতায় না আসে তাহলে প্রশাসন বিল উদ্ধার করে বনের বিপন্নতা রক্ষা করবে।