আপডেট: জানুয়ারি ২৩, ২০২২
রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে প্রতিনিয়তই করোনা আক্রান্তে সংখ্যা বেড়ে চলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় ৬ চিকিৎসকসহ ৪৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসকদের সবাই বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত। আক্রান্তে হার ২০.৬৫ শতাংশ।
গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানাগেছে, জানুয়ারী মাসের আগ থেকে জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা কম ছিল। কিন্তু জানুয়ারী মাস থেকেই করোনা শনাক্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে করোনা রোগীর চাপ বাড়তে থাকে হাসপাতালগুলোতে।
গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ২১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ৬ চিকিৎসকসহ ৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৪০ জন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ৩ জন ও কাশিয়ানী উপজেলায় ১ জন রয়েছে। আক্রান্ত চিকিৎসকেরা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। আর গত এক সপ্তাহে জেলায় ১২৩ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে।
জেলায় সর্বমোট ৫২ হাজার ৮৯১ জনের নমুনা পরীক্ষায় মোট শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ২২৪ জন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৩ হাজার ৯১৬ জন, কাশিয়ানী উপজেলায় ১ হাজার ৭৭৩ জন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ১ হাজার ৭৭১ জন, মুকসুদপুর উপজেলায় ১ হাজার ৫০২ জন ও কোটালীপাড়া উপজেলায় ১ হাজার ২৬২ জন রয়েছে। এ পযর্ন্ত জেলায় করোনায় মারা গেছে ১০৩ জন ও সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৯৪৭ জন।
জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, রাস্ত-ঘাট, বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে রয়েছে সাধারন মানুষের ভীড়। বাইরে বের হওয়া লোকজনের মধ্যে ছিল সচেতনার অভাব। অনেকই সামাজিক দূরত্ব মানা তো দুরের কথা মাস্ক পরিধান না করেই বাইরে বের হয়েছেন। এতে করোনা সংক্রমের ঝুঁকি বেড়েই চলছে।
এদিকে করোনার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চলছে করোনার টিকাদান কর্মসূচী। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্র শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান করা হচ্ছে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা: বিচিত্র কুমার বিশ্বাস বলেন, সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত ৬ চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদেরকে হোম আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এখানে করোনার অনেক রোগী আসেন। সেখান এই ৬ জন চিকিৎসত আক্রান্ত হতে পারেন। #