২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শিরোনাম
তেলবাহী লড়ি উল্টে গিয়ে আগুন লেগে এক জনের মৃত্যু। ভূমি বিষয়ক তথ্যাদি স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ গ্রহণ করো হয়েছে-ভূমিমন্ত্রী মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই

মোল্লাহাটে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেজেছে মনোমুগ্ধকর পুষ্পকাননে

আপডেট: জানুয়ারি ২৩, ২০২২

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

খালিদ হাসান, বাগেরহাট প্রতিনিধি:
“ জোটে যদি মোটে একটি পয়সা, খাদ্য কিনিও ক্ষুদার লাগি, দুটি যদি জোটে অর্ধেক তার ফুল কিনিও হে অনুরাগি” পবিত্র এ হাদিসকে যেমন কাব্যরূপ দিয়েছে কবি তেমনিভাবে মোল্লাহাট উপজেলা প্রশাসন কবির কাব্যকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে।

এ উপজেলাকে আলোকিত ও মানবিক উপজেলা হিসাবে গড়ে তুলতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ওয়াহিদ হোসেন নানা পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরসহ ১৪২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে সৃজন করা হয়েছে“ শেখ রাসেল পুষ্পকানন। প্রশাসনের এ উদ্যোগকে বাস্তবে রূপদিতে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শতস্ফুর্ত ভাবে এগিয়ে আসছে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার জন্য। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক ধরণের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে যেন তাদের পুষ্পকাননটিই উপজেলান মধ্যে সেরা হয়। বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায় গোলাপ, টগর, বেলী, জবা, রজনীগন্ধা, নয়নতারা, রঙ্গন আর বাগান বিলাশের মৌ মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গন।

কথা হয় আংগরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চৌধুরী মাহামুদুল হাসানের সাথে। তিনি প্রতিবেদককে জানান, প্রত্যন্ত অঞ্চলের এ বিদ্যালয়টি ছিলো অনেকটা অবহেলিত, সুনির্দিষ্ট প্রয়োজন ছাড়া এখানে কেহই আসতোনা কিন্তু বিদ্যালয়টির সুসজ্জ্বিত ফুল বাগানটি দেখতে এখন অনেকেই ছুটে আসছে। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের প্রতি আকর্ষন বেড়েছে। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হারও কমেছে।

এ ব্যাপারে নির্বাহী অফিসার প্রতিবেদককে জানান, এধরণের পুষ্পকানন সৃজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ উন্নত হবে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগন ফুলের সংস্পর্শে আসায় তাদের মন মানসিকতার পরিবর্তন হবে । মন সতেজ, কোমল ও নরম হবে। ফলে অন্যদের সাথে তাদের আচারণ হবে যথাযথ ও মার্জিত। অপরাধমূলক কাজ করা থেকে বিরত থাকবে। সামজিক অবক্ষয় রোধ হবে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকগন থেকে পরিবার, আত্মিয়-স্বজনসহ সমাজের সবার মধ্যে এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়বে। ফলে ধীরে ধীরে বিনির্মান হবে আলোকিত ও মানবিক মোল্লাহাট।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network