আপডেট: জানুয়ারি ২৩, ২০২২
রিয়াজুল হক সাগর, রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ।
রংপুরে স্বামী ও তার পরিবারের যোগসাজসীয় পরিকল্পনায় যৌতুকের দাবী। আদায় না হওয়ায় জান্নাতিকে অভিনব কায়দায় হত্যার পর গা ঢাকা দিয়েছে স্বামীসহ অভিযুক্তরা। ঘটনায় জান্নাতির বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে ৪জনকে অভিযুক্ত করে মেট্রো পলিটন তাজহাট থানায় মামলা দায়ের করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ৫দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি আমার কন্যার হত্যাকারীচক্রটিকে।
জানাগেছে,জানুয়ারী মাসের ৩তারিখে স্বামী তুহিন ৫০হাজার টাকা জান্নাতির বাবার বাড়ি থেকে আনতে চাপ সৃষ্টি করে। সে কারনে বাবার বাড়িতে গিয়ে টাকার বিষয়টা জানালে বাবা দিতে রাজিও হন। কিন্তু সময় চান যোগাড় করার জন্য। এরপর জান্নাতি আশ্বস্থ হলে বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসে। গত ১৯ জানুয়ারী দুপুর ১টার দিকে হঠাৎ জান্নাতির শশুরবাড়ির লোকজন ফোন করে বলেন জান্নাতি গুরতর অসুস্থ, তাই আপনারা এখনি তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে ধর্মদাস লক্ষণপাড়ায় আসেন। এমন খবরে জান্নাতির শশুরবাড়িতে তার নিকট আতীয়রা ছুটে আসেন । জান্নাতির শশুরবাড়ির কাউকেই দেখতে না পেলেও ঘরের মেঝেতে দেখতে পান জান্নাতির পড়ে থাকা নিথর দেহ। তখন আকাশ ভেঙ্গে পড়ে জান্নাতির পরিবার ও আতœীয় স্বজনদের মাথায়। পুলিশকে খবর দিলে তাজহাট থানার পুলিশ এসআই বিভূতি রায় ঘটনাস্থলে পৌছান আর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠান। ২০জানুয়ারী ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলে লাশ নিয়ে পৌছান বাবার বাড়ি এলাকায়। এঘটনায় গ্রামের শত শত নারী পুরুষ শোকে কাতর হয়ে পড়েন। আর বিচার চাই হতে হবে শ্লোগান দিতে থাকে।
উল্লেখ্য-প্রায় ৩বছর আগে রংপুর সদর উপজেলার রামজীবন গ্রামের জাহাঙ্গীরের কন্যা জান্নাতি ও তাজহাট থানা এলাকার ধর্মদাস লক্ষণপাড়ার আতাউর রহমান আতোয়ার এর ছেলে তুহিনের সাথে বিয়ে দেয়। বিয়ের সময় মেয়ের সুখের যোগান হিসেবে ৩লক্ষাধিক যৌতুক প্রদান করেন ধুমধাম অনুষ্ঠান করেন জান্নাতির বাবা জাহাঙ্গীর আলম মেয়ের বিয়ে দিন। এরপর প্রায়ই যৌতুকের দাবী করে আসলে মাঝে মধ্যে তা পুরনও করতেন।জান্নাতির বাবা।
জান্নাতির নানী রহিমা বেওয়া জানান, নাতনী আমার বাড়িতে এসে জানিয়েছিল তার পেটে ৩মাসের বাচ্চা রয়েছে। তাই আমি বলি হত্যা একটা নয়, ২টা করেছে ওই পাষন্ড তুহিন ও তার পরিবার।
জান্নাতির পরিবার সকল আসামীদের অনতিবিলম্বের গ্রেফতার ও আইনীভাবে বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির দাবী জানান।
মামলার তদন্তকারী এস আই বিভূতি রায় বলেন, অভিযান অব্যাহত রয়েছে, সোর্স নিয়োগ করেছি। ধরা পড়তেই হবে।