আপডেট: এপ্রিল ৬, ২০২২
গৌরনদী প্রতিনিধি :
কৃষি মন্ত্রণালয়ের “সৌর শক্তি ও পানি সাশ্রয়ী আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি” নামের পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সুবিধাভোগী কৃষকদের ভাগ্যে বদল হতে শুরু করেছে। প্রকল্পের সুবিধাভোগী কৃষকদের আর্থিক স্বচ্ছলতার পাশাপাশি ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সৌর শক্তি ও পানি সাশ্রয়ী আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি” পাইলট প্রকল্পের আওতায় বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের উত্তর বিল্বগ্রাম বøকে ২৫ হেক্টর কৃষি জমি সৌর শক্তির মাধ্যমে সেচ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ভূ-গর্ভস্থ্য (বারিড পাইপ) প্রদর্শনী করা হয়।
উত্তর বিল্বগ্রাম পানি ব্যবস্থাপনা কৃষক সংগঠনের সভাপতি ও ব্লক সুপারভাইজার মোঃ মিজানুর রহমান জানান, পূর্বে তার ব্লকে ইরি মৌসুমে ডিজেল চালিত মেশিন দিয়ে সেচকার্য পরিচালিত হতো। তাতে প্রতি ২০ শতক জমি সেচকার্যের জন্য সাতশ’ থেকে আটশ’ টাকা পর্যন্ত গুনতে হতো কৃষকদের। গত বছর “সৌর শক্তি ও পানি সাশ্রয়ী আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি” প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় কৃষকদের সেচ খরচ অর্ধেকেরও কমে নেমে এসেছে। তিনি আরও জানান, দিনের বেলায় সূর্যের তাপে সৌর প্যানেলগুলো সচল থাকায় সেচ কার্য পরিচালনা করায় যায়। কিন্তু রাতের বেলায় বন্ধ থাকে। সৌর প্যানেলের সাথে ব্যাটারী সংশোযন করা হলে রাতের বেলাও সেচকার্য করা যেত। ফলে অধিক পরিমান জমি সৌর সেচের আওতায় নিয়ে আসা যেত।
এ বিষয়ে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু জানান, জাতির পিতার ভাগ্নে মন্ত্রী আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি’র প্রচেষ্টায় গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া ইউনিয়নের উত্তর বিল্বগ্রাম ব্লকে “সৌর শক্তি ও পানি সাশ্রয়ী আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি” পাইলট প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে। যার ফলে গ্রামীণ জনপদের ক্ষুদ্র কৃষকদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটছে। ইউনিয়নের অন্যান্য ব্লকগুলোতে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এ এলাকায় কৃষি বিপ্লব ঘটবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে গৌরনদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মামুনুর রহমান জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ায় ইতিমধ্যে ওই বøকের প্রায় ৭০-৮০ জন কৃষক আর্থিক ভাবে লাভবান হতে শুরু করেছেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলেও কৃষি কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করেন।