আপডেট: মে ১৮, ২০২২
মোঃ আসাদুল ইসলাম
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের ভাটি বোছাগাড়ি আশ্রয়ন প্রকল্প (১)
নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১০০টি ঘর তিস্তা নদী ভাঙনের কবলে পড়েছে। ইতি মধ্যে ৪০ টি ঘর তিস্তার বুকে বিলীন হয়ে গিয়েছে। নদীর দ্বারে নির্মিত এসব ঘরের সুরক্ষায় কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়।
আশ্রয়ণ প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল, অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসন করতে ১৯৯৭ সালে এ দেশে আশ্রয়ন প্রকল্প নির্মাণকাজ শুরু করে সরকার। স্থানীয় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার মাধ্যমে সেই জমিতে মাটি ভরাট করা হয় ও ঘর নির্মাণ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। পরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয় স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুন্দরগঞ্জের ভাটি কাপাসিয়া বোছাগাড়ী চরে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১০০টি ঘর নির্মিত হয় পাঁচ বছর আগে। তখন নদী ছিল প্রায় এক কিলোমিটার দূরে। কিন্তু তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙনের ফলে এর কবলে পড়ছে প্রকল্পের ঘরগুলো। এ ছাড়া তিস্তা ভাঙনের ফলে অন্য সব ঘর সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের অব্যাহত ভাঙনের ফলে পরিবারগুলো আবারও আশ্রয়হীন হয়ে পড়ে। অনেকে বাধ্য হয়েই অন্য চরে গিয়ে বসবাস শুরু করে।
নদী ভাঙ্গনের স্বীকার জবেদা বেগম বলেন, ‘প্রায় চার বছর এ আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে ছিলাম। কিন্তু তিস্তা ভাঙ্গনে আমারসহ আরো চল্লিশটি ঘর নদীতে বিলীন হয়ে যায়। অনেকে গৃহহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি।’
এবিষয়ে সহকারী কমিশনার ( ভুমি) মাহামুদ আল হাসান বলেন, বাকি ৬০টি ঘর দ্রুত কবুলিয়েত দেওয়া হবে । নদী ভাঙ্গনের আগে তারা যেন সরিয়ে নিতে পারে।