২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শিরোনাম
মির্জা ফকরুলরা তারেক জিয়ার নির্দেশে জনগনের সাথে প্রতারনা ও তামশা করছে-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিগ বার্ড ইন কেইজ: ২৫ শে মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধুর গ্রেফতার  ঢাবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ১ কোটি টাকার বৃত্তি ফান্ড গঠিত হাইকোর্টের রায়ে ডিন পদে নিয়োগ পেলেন যবিপ্রবির ড. শিরিন জয় সেট সেন্টার’ থেকে মিলবে প্রশিক্ষণ, বাড়বে কর্মসংস্থান: পীরগঞ্জে স্পীকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস আগামীকাল টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সাদি মোহম্মদ আর নেই শিক্ষার মান নেমে যাওয়ায় উদ্বেগ শিক্ষার মান উন্নয়ন না হলে শুধু বদলী নয় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে-মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষন পাঠ করলো ৭’শ শিক্ষার্থী

১০ দিনেও থানায় পৌঁছায়নি চেয়ারম্যানের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

আপডেট: মে ২২, ২০২২

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

১০ দিনেও থানায় পৌঁছায়নি চেয়ারম্যানের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন এবং তার সহযোগী মো. খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ১০ দিনেও তা পৌঁছায়নি সংশ্লিষ্ট থানায়। পরোয়ানা জারির পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান এবং তার সহযোগী। গত ১২ মে পটুয়াখালী সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক রুখসানা পারভিন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩ এপ্রিল পটুয়াখালী সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মো. রিয়াজ মিয়া নামে এক ব্যক্তি গোলখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন এর বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন (৫)২ ও দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় একটি মামলা করেন।
আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনকে এ মামলার তদন্তের নির্দেশ দিলে তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। গত ৮ মার্চ দুদক পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন আদালতে দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত গত ১২ মে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
দুদকের তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গোলাখালী ইউনিয়নের বড় গাবুয়া খেয়াঘাটটি একটি আন্ত:জেলা খেয়াঘাট। এর এক পাড়ে গলাচিপা পটুয়াখালী জেলা এবং অপরপাড়ে আমতলি বরগুনা জেলা। মাঝখানে গোলখালী নদী অবস্থিত।
ফেরিঘাট ইজারা নীতিমালা অনুসারে আন্ত:জেলা ফেরিঘাট সমূহ বিভাগীয় কমিশনার কর্তৃক গঠিত কমিটির মাধ্যমে ইজারা প্রদান করা হয়। বড়গাবুয়া খেয়াঘাটটির ইজারা দেয়ার এখতিয়ার বিভাগীয় কমিশনারের। সে অনুযায়ী বাংলা সন ১৪২৬ এর ১লা বৈশাখ থেকে ৩০ শে চৈত্র পর্যন্ত সময়ের জন্য ইজারা বন্দোবস্ত প্রদানের নিমিত্তে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মো. রিয়াজ মিয়াকে ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকায় ১৪২৬ সালের জন্য ইজারা প্রদান করা হয়। কিন্তু গোলাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন ইজারাদার মো. রিয়াজ মিয়াকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে খেয়াঘাট পরিচালনায় বাঁধা প্রদান করেন এবং তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। কিন্তু রিয়াজ মিয়া চেয়ারম্যানকে ঘুষ না দেয়ায় চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে সাত লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে ক্ষমতার বেআইনি অপব্যবহার করে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে বড়গাবুয়া খেয়াঘাট এর স্থলে বড়গাবুয়া টু বড়গাবুয়া নামে ভিন্ন একটি খেয়াঘাট সৃষ্টি করে ২০১৯ সালের ৩ এপ্রিল ১৪২৬ বাংলা সনের জন্য ইজারা প্রদান করেন। সরকারী ইজারাকৃত খেয়াঘাটের দুই কিলোমিটারের মধ্যে নতুন কোন খেয়াঘাট সৃষ্টি করা যাবে না এবং নতুন নামে কোন খেয়াঘাট ইজারা দেয়া যাবে না জেনেও চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন খেয়াঘাট ইজারা দেন। ফলে একই স্থানে দুটি খেয়াঘাট ইজারা প্রদান করা হয় এবং যা সরকারী আইন বহির্ভূত।
দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ নেয়ার মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগের আদেশ অমান্য করে এই জায়গায় ভিন্ন নামে খেয়াঘাট দেখিয়ে ইজারা দিয়েছেন, যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ১৯৪৭ এর (৫)২ ধারা ও দণ্ডবিধি ১৬১ ধারায় শাস্তি যোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম আর শওকত আনোয়ার ইসলাম জানান, তাদের কাছে এ বিষয়ে এখনও কোন ওয়ারেন্ট আসেনি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটুয়াখালী গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশিষ কুমার বলেন, ‘আমরা এখনও এ বিষয়ে কোন অফিসিয়াল কাগজপত্র পাইনি। কাগজ পেলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।’এ বিষয়ে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির কাগজ পুলিশ অফিস হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় গিয়ে থাকে। তবে মো. নাসির উদ্দিনের গ্রেপ্তারি এখনও কেন যায়নি সে বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network