করোনা মহামারীতে যখন পুরো বিশ্ব নিথর ছিল। তখন গৃহবন্দী হয়ে ফারহানা নিজেকে ভালো রাখার পথ খুঁজতে লাগেন। ঠিক তখনই আলাদীনের চেরাকের ন্যায় একজন শিক্ষকের থেকে পথপ্রদর্শকের মতো গাইড লাইন পেয়ে এই গৃহবন্দী সময়টাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা শুরু করলেন। এরপর থেকেই ফারহানা নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্য পত্র-পত্রিকাতে লেখালেখি শুরু করেন। ইতিমধ্যে তার ১শ’র বেশি লেখা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক, দেশীয় এবং স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
‘আমার মুজিব’ রচনা লিখন প্রতিযোগিতায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাটাগরিতে সারাদেশের মধ্যে ২২তম হন এবং শিক্ষকদের সাথে তার কয়েকটি গবেষণাপত্রও বিভিন্ন জ্নাালে প্রকাশিত হয়েছে। কয়েকমাস আগে নিজের এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি দিকনির্দেশনামূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করে পেয়েছেন “লেডি উইথ দ্যা ল্যাম্প” উপাধি। যার কথা বলছি তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ফারহানা ইয়াসমিন। নিজের বিভাগের পড়াশোনা নিয়ে তিনি খুবই সিরিয়াস। প্রথম বর্ষে থাকা অবস্থায় তার বাবা জিজ্ঞেস করেছিলেন তার রেজাল্ট প্রথম দশজনের মধ্যে থাকবে কিনা। ১ম সেমিস্টারেই সবার থেকে ভালো রেজাল্ট করেন। সস্প্রতি তার অনার্সের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়েছে।
আশা রাখেন পূর্বের ন্যায় অনার্সেও সেই রকম রেজাল্ট অব্যাহত থাকবে। নিয়মিত পড়াশোনা এবং অবসরে লেখালেখি এ দুটোই তার ডেইলি রুটিনের বিরাট একটি অংশ জুড়ে আছে। স্বপ্ন তার বিদেশ থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া। ‘দীর্ঘ চেষ্টা এবং সাফলতা যেন এক সুতোয় বাঁধা’ কথাটি বিশ্বাস করে স্বপ্ন পূরণের জন্য নিজেকে সে ভাবে প্রস্তুত করছেন ফারহানা ইয়াসমিন।
ফারহানা ইয়াসমিন
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়