• ২৫শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১১ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেলার ভোটে সন্তুষ্ট সিইসি সিসিটিভিতে পর্যবেক্ষণ

report71
প্রকাশিত অক্টোবর ১৭, ২০২২, ১৬:৩৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচনের পর সতর্ক অবস্থানে নির্বাচন কমিশন। তাই প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জেলা পরিষদের ভোটের পুরোটা সময় ঢাকার নির্বাচন ভবনের মনিটরিং সেলে সিসিটিভির পর্দায় চোখ রেখে বসেছিলেন। শেষ পর্যন্ত খুশি মনেই চেয়ার থেকে ওঠেন তিনি।

সোমবার ১৭ অক্টোবর বেলা ২টায় ভোট শেষে সাংবাদিকদের সিইসি বলেন, ‘৫৭টি জেলা পরিষদের নির্বাচন হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ করেছি। কোনো রকম অনিয়ম, সহিংসতা, গোলযোগ, গণ্ডগোলের তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। টেলিফোনেও যেসব সংবাদ পেয়েছি, ভোট সুন্দর হয়েছে, আমরা সন্তুষ্ট।’

কেবল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভোট দিতে পারেন জেলা পরিষদের নির্বাচনে। তাই ভোটার থাকে কম। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরাই জেলা পরিষদে নির্বাচিত হন। কারণ স্থানীয় সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির তালিকায় তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। ফলে এ নির্বাচনে উত্তাপ ততটা থাকে না।

তারপরও নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ-আনসার মিলিয়ে ৭ জনকে নিয়োজিত করা হয়েছিল এ নির্বাচনে। গাইবান্ধা উপ-নির্বাচনের মতই সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ঢাকার মনিটরিং সেল থেকে জেলার ভোটের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন সিইসি। নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, আনিছুর রহমান ও মো. আলমগীর এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।

সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ৪৬২টি ভোটকেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হয়। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য মিলিয়ে ৬৭১ জন জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে ভোটার ছিলেন সব মিলিয়ে ৬০ হাজার ৮৬৬ জন।

গত বুধবার গাইবান্ধায় বর্তমান ইসির অধীনে প্রথম ভোটে সিসি ক্যামেরায় বড় ধরনের অনিয়মের চিত্র দেখে ভোট বন্ধের সিদ্ধান্ত দেয় ইসি; যা নিয়ে নানামুখি আলোচনা তৈরি হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল