স্টাফ রির্পোটার
বরিশালের বাবুগঞ্জে পূর্ব শএুতার জেরে কলেজ ছাএের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিজেদের জমির ধান কেটে নেয়ার প্রতিবাদ করায় এক কলেজ ছাত্রর উপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। পরে ওই কলেজ ছাত্র মো: নাসির ওরফে হৃদয়কে বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলার পর ছাত্র হৃদয়কে হত্যার হুমকী দিলে তার বাবা জহিরুল ইসলাম সামসু থানায় মামলা দিতে চাইলে এয়ারপোর্ট থানায় মামলা নিতে গড়িমসি করলে ভূক্তভোগী পরিবারটি বাদী হয়ে কোর্টে ৮ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ। বাদী জহিরুল ইসলাম সামসু বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার পূর্ব রহমতপুর এলাকার বাসিন্দা। মামলার আসামীরা হচ্ছেন পূর্ব রহমতপুর এলাকার ট্রাক ড্রাইভার সৈয়দ সোহেল, মাহাবুবুল হক, তার ছেলে মেহেদী হাসান, সিরাজ, নিয়ন, খাদিজা বেগম, রোজিনা ও আনোয়ার হোসেন। আহত হৃদয় বাবুগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের বিবিএ’র ছাত্র।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাদী জহিরুল ইসলাম সামসুর বড় ভাই মাহাবুবুল হক তার নিঃসন্তান মৃত চাচা আব্দুল মোতালেব কে কাগজ পএে পিতা দেখিয়ে নিজের নামে ১ একর ৩০ শতাংশ জমি রের্কড করে নিয়ে অপর ভাই জহিরুল ইসলাম সামসু কে বঞ্চিত করে পরে তা বিক্রি করে আত্মসাত করে। বিষয়টি জানতে পেরে জালিয়াতি মামলা করলে মাহাবুবুল হক ২৫ দিন জেল খাটেন। এই ঘটনার জের ধরে গত ১১ ডিসেম্বর জহিরুল ইসলাম সামসুর ধান ক্ষেত্রের ধান কেটে নেয় মাহাবুবুল হক ও তার দলবল। বিষয়টি জানতে পেরে কলেজ ছাত্র নাসির ওরফে হৃদয় বাঁধা দিলে তার মাথায় রড ও এবং লাঠি দিয়ে আঘাঁত করে রক্তাক্ত করে মাহাবুবুলের জামাতা ট্রাক ড্রাইভার সৈয়দ সোহেল, মেহেদী হাসান, সিরাজসহ আরো অনেকে। পরে বাদী ৯৯৯ ফোন করে পুলিশ আনেন। উল্লেখ্য একই ব্যক্তিরা ২০১২ সালে হৃদয়দের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে সবাই কে রড ও লাঠি দিয়ে বেধরক পিটিয়ে আহত করেছিল। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলা তদন্তের দায়িত্বে থাকা ডিবি পুলিশের এসআই ফকরুদ্দীন বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। আমরা খোজঁ খবর নিচ্ছি।