২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

ভোলায় আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারে অবৈধ ভাবে হাঁসের ডিম বিক্রির অভিযোগ।

আপডেট: অক্টোবর ২৩, ২০২৩

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন

ভোলা প্রতিনিধি:

ভোলা সদর উপজেলায় বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ডে’র উল্টো দিকে অবস্থিত। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের অধীনে সরকারি আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারে অবৈধ ভাবে বেশি দামে হাঁস ও ডিম বিক্রির অভিযোগ। খামারিদের বদলে পাইকারদের হাতে বেশি দামে তুলে দেয়া হচ্ছে হাঁসের ডিম এমনকি হাঁসের বাচ্চা থেকে শুরু করে বড় হাঁস পর্যন্ত। কোনো নথিপত্রে থাকছে না এর হিসাব। ফলে সরকারি হাঁস প্রজনন খামারে উৎপাদিত ডিম, হাঁসের বাচ্চা কিংবা হাঁস বিক্রির টাকা সরকারের তহবিলে না গিয়ে যাচ্ছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পকেটে পকেটে।
গত ১৫ ই অক্টোবর সর জমিনে গিয়ে জানা যায় স্থানীয়দের কাছে ও খামারের আশেপাশে থাকা দোকানে ডিম বিক্রি না করে, বাইরে ব্যবসায়ীদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করছে ডিম ও হাঁস। আঞ্চলিক এ হাঁস প্রজনন খামারটি যেন হয়ে উঠেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টাকা উপার্জনের এক প্রজনন খামার। উল্লেখ্য সরকারিভাবে প্রতি পিস ডিমের দাম ৯ টাকা করে নির্ধারণ করা হলেও অবৈধভাবে বাইরে বেশি দামে ডিম ও হাঁস বিক্রি করছে কর্মকর্তারা এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে স্থানীয় সূত্রগুলোর দাবি, সরকারি খামারটিতে মানুষ ডিম কিংবা হাঁসের বাচ্চা ও হাঁস সংগ্রহ করতে গেলে ‘নাই’ জানিয়ে তাদের ফেরত দেয়া হয়। অথচ বেপারী আসলে তাদের কাছে গাড়ি ভর্তি করে ডিম, হাঁসের বাচ্চা ও হাঁস বিক্রি করা হয়। সরকারি অফিসে দিনের বেলা বিক্রয় ও সরবরাহের কথা থাকলেও এখানে রাতের আঁধারে বিক্রয় করা হয়।
ডিম, হাঁসের বাচ্চা ও বড় হাঁস বিক্রি চলে মধ্যরাত থেকে শুরু করে ভোর পর্যন্ত। ভুক্তভোগী স্থানীয় খামারি মোঃ আজাদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমি একটি নতুন খামার করেছি। আমার ইচ্ছা ছিল, কিছু হাঁসের বাচ্চা পালন করবো। এক মাস যাবৎ এসে ঘুরতেছি কিন্তু আমাকে কোনো হাঁসের বাচ্চা দিচ্ছে না। তাদের না-কি আগেই দুই মাস-তিন মাসের জন্য বুকিং দেয়া রয়েছে, তারা বিক্রি করে দিয়েছে। অথচ আমি ছাড়াও আরও অনেকে হাঁসের বাচ্চার জন্য এসে ঘুরে যাচ্ছে। সরকারি মূল্যের চেয়েও বেশি দামে তারা পাইকারদের কাছে বিক্রি করে দেয়। এমনকি রাত দুইটা-তিনটার সময় বড় বড় হাঁস ভর্তি গাড়ি এখান থেকে বের হতে দেখা যায়।

এবিষয় জানতে চাইলে আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারটির ব্যবস্থাপক ও জেলা প্রাণিসম্পদ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার কুন্ডু বলেন, সবকিছু নিয়মমাফিক হচ্ছে বলে দাবি করেন। তিনি আরও বলেন এখানে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম। এর কারণ বাজেট কম। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়েও উৎপাদন ব্যাহত হয়।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (উৎপাদন) ডাঃ এ.বি.এম খালেদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • ফেইসবুক শেয়ার করুন
     
Website Design and Developed By Engineer BD Network