প্রতিবেদক আরমান হোসাইন :
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ফখরুল ইসলাম (৩০) নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার পায়ের রগ কেটে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবলীগ কর্মী মাসুম ও তার বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে গোপালপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মধুপুর গ্রামের রইছ মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। আহত ফখরুল ইসলাম গোপালপুর ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের আফতাব আহমেদের ছেলে এবং একই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয়রা তাকে মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরবর্তীতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল ও পরে সেখান থেকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করে।
তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বেগমগঞ্জের গোপালপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) শাহজাহান সাজু রবিবার দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফখরুল স্থানীয় রইছ মার্কেটের একটি চা দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় মাসুম বাহিনীর প্রধান মাসুমের নেতৃত্বে ৫-৬ জন মুখোশ পরিহিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে এসে মার্কেটে হামলা চালিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফখরুলকে গুলি করে ও কুপিয়ে জখম করে। পরে হত্যা নিশ্চিত করতে সন্ত্রাসীরা তার পায়ের রগ কেটে দেয়। এ সময় সন্ত্রাসীদের বাধা দিতে গেলে ফাকা গুলি ছুড়ে এবং আশপাশের কয়েকজনকেও পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়।
মেম্বার সাজু জানান, গত ১৭ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দিনগত রাতে মধুপুরের লেদু মেম্বার বাড়ির আমির হোসেনের রান্নাঘরে অগ্নিসংযোগ করে দূর্বৃত্তরা। এ নিয়ে মামলা দায়েরের পর স্থানীয় মাসুম বাহিনীর সদস্য শাকিলকে আটক করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যমতে যুবলীগ কর্মী মাসুম ও ইউসুফকেও আসামি করা হয়। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম ওই মামলার স্বাক্ষী হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার উপর আক্রমণ করেন মাসুম ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী।
তিনি আরও জানান মাসুম ও ইউছুফ বাহিনীর অত্যাচারের বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপাল পুর ইউনিয়নবাসী অতিষ্ঠ। তারা সর্বত্র চাঁদাবাজি মাদক কারবার ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে যাচ্ছে। রহস্যজনক কারণে স্থানীয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাদের কে দ্রুত আইনেন আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার যুবলীগ কর্মী মাসুমের মুঠোফোনে কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তাই অভিযোগের বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার পায়ের রগ কাটার বিষয়টি বিষয়টি কয়েক দিন আগে ঘটেছে বলে আমি মৌখিক ভাবে শুনেছি। তবে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।