আপডেট: নভেম্বর ১৬, ২০২৩
আপডেট:
স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল এটিএম আবদুল ওয়াহ্হাব (অব:) বলেছেন, “সরকারের অনুমোদিত রক্তদান কেন্দ্র হিসেবে ১৯৮১ সাল থেকে রক্ত সংগ্রহ ও বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। গোপালগঞ্জের নতুন এ রক্ত কেন্দ্র থ্যালাসেমিয়া, ক্যান্সারসহ জটিল রোগে আক্রান্ত মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ রক্ত সরবরাহ করে আধুনিক চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গোপালগঞ্জ জেলাকে রেড ক্রিসেন্টের রক্ত কর্মসূচীর অন্তর্ভূক্ত করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত ও গর্বিত।”
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রক্ত সেবার পরিধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে গোপালগঞ্জে অত্যাধুনিক রক্তকেন্দ্রে উদ্বোধনীয় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, এর আগে দেশে ৯টি রক্তকেন্দ্র ছিল। গোপালগঞ্জের নতুন এ রক্তকেন্দ্র দিয়ে দেশে ১০টি রক্তকেন্দ্র হলো। প্রতিটি রক্তকেন্দ্র তাদের অর্জিত অর্থ দিয়ে চলছে। তবে যারা অর্থিকভাবে স্বচ্ছল তাদের এখান থেকে রক্ত কিনে নিতে হবে আর যারা অস্বচ্ছল তারা এখান থেকে রক্ত ফ্রিতে পাবে। কেউ এ ব্লাড ব্যাংক থেকে খালি হাতে ফিরবে না।
এর আগে, দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে গোপালগঞ্জ রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের উদ্যোগে নবনির্মিতি রক্ত কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল এটিএম আবদুল ওয়াহ্হাব (অব:)। পরে স্থানীয় নজরুল পাবলিক লাইব্রেরীর হল রুমে অনুষ্ঠিত গোপালগঞ্জ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মুন্সী আতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. নূর-উর-রহমান, ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সদস্য এম মঞ্জুরুল ইসলাম, শিকদার নূর মোহম্মদ দুলু, প্রফেসর ড. চৌধুরী সারোয়ার জাহান, সোসাইটির মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম, রক্ত কর্মসূচীর পরিচালক প্রফেসর ডা. এসএম হুমায়ুন কবির, লিগ্যাল এফেয়ার্সের পরিচালক খ. এনায়েতুল্লাহ আকরাম পলাশ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিস্থলে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের বিদেহীর আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
নতুন এই রক্তকেন্দ্রে রক্তের প্রয়োজনীয় সবধরণের উপাদান যেমন সম্পূর্ণ রক্ত, প্যাকড সেল, ফ্রেস ফ্রোজেন প্লাজমা, প্লাটিলেটস, ওয়াসড সেল সংগ্রহ, প্রস্তুত ও সরবরাহ করা যাবে। দশম এই রক্তকেন্দ্র চালুর মধ্য দিয়ে সরাদেশে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির বিশুদ্ধ রক্ত সরবরাহের সক্ষমতা আরো বৃদ্ধি পেল।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রক্ত কর্মসূচীর অধীনে দেশের সর্বমোট চাহিদার প্রায় ১২ শতাংশ পূরণে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। প্রতিটি রক্ত কেন্দ্র সরকারের নিরাপদ রক্ত কর্মসূচীর গাইড লাইন অনুযায়ী স্বেচ্ছায় রক্তদানে উদ্বুদ্ধকরণ, রক্ত সংগ্রহ, রক্তে জীবাণু (হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, এইচ আই ভি/এইডস, সিফিলিস ও ম্যালেরিয়া) পরীক্ষা, রক্ত সংরক্ষণ, ক্রস ম্যাচিং ও ডাক্তারের পরামর্শক্রমে রক্ত সরবরাহ করে থাকে। সোসাইটির উদ্যোগে চলতি বছরে প্রায় ৬৫ হাজার ব্যাগ রক্ত ও রক্তের উপাদান সংগ্রহ এবং প্রায় ৮০ হাজার ব্যাগ রক্ত ও রক্তের উপাদান বিতরণ করা হয়। #