• ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বানারীপাড়ায় যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ

report71
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৬, ২০২৪, ১৩:৫০ অপরাহ্ণ
বানারীপাড়ায় যৌতুকের দাবিতে  গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ

এস মিজানুল ইসলাম, বানারীপাড়া(বরিশাল) প্রতিনিধি॥ বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার ব্রাক্ষ্মণকাঠি গ্রামে ভালোবেসে ঘর বেঁধে ছিল চম্পা(২২) নামের এক গৃহবধু। প্রেমিক স্বামীর যৌতুকের বলি হল প্রেমিকা চম্পা।
অভিযোগ জানা যায়, ঘটনার পর থেকে স্বামী সুমন বেপারী দুই বছরের মেয়ে তানহাকে নিয়ে পলাতক রয়েছে। রবিবার ১৪ জানুয়ারী রাত ১১টার দিকে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চম্পার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে ১৫ জানুয়ারী সোমবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ময়না তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পরে ওই দিনই বাদ আসর মহিষাপোতা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

এ ব্যপারে নিহত চম্পার মা রেবা বেগম বানারীপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। চম্পার স্বজনদের অভিযোগ, জামাতা সুমন বেপারী তার ব্রাক্ষ্মণকাঠি গ্রামে সম্প্রতি ৬ শতক সম্পত্তি ক্রয় করেন। ওই সম্পত্তি ক্রয় করতে গিয়ে সে ঋণগ্রস্থ হয়ে পড়ে। তা পরিশোধের জন্য স্ত্রী চম্পাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে বলেন। চম্পার দরিদ্র বাবা-মা সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে জামাতাকে ১৫ হাজার টাকা এনে দেন। এতে সুমন সন্তষ্ট না হয়ে স্ত্রীর কাছে আরও টাকা দাবি করে।
এ নিয়ে সুমন গালা-গালসহ স্ত্রীকে নানাভাবে মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন শুরু করে। গত ৮/৯দিন পূর্বে চম্পা শিশু কন্যাকে নিয়ে বানারীপাড়া পৌর শহরের পিতা আনোয়ার মল্লিকের বাড়িতে এসে ওঠে। ঘটনার দিন ১৪ জানুয়ারী রবিবার সন্ধ্যায় সুমন শ্বশুর বাড়ি থেকে স্ত্রীকে নিয়ে যেতে চাইলে দু’জনের মধ্যে কথাকাকাটি হয়। এসময় সুমন স্ত্রী চম্পাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও মারধর করতে গেলে শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে নিবৃত করেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে চম্পা তার দুই বছরের শিশু কন্যা তানহাকে নিয়ে উপজেলার ব্রাক্ষ্মণকাঠি গ্রামে স্বামীর বাড়ি ফিরে যান।
সেখানে যাওয়ার পরে তাদের মধ্যে পুনরায় ঝগড়াঝাটি হয়। ওই দিন রাত ১০টার দিকে চম্পাকে অচেতন অবস্থায় তার শ্বাশুরিসহ প্রতিবেশীরা বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। চম্পার শ্বশুর তৈয়ব আলী বেপারী ও শ্বাশুড়ী আলেয়া বেগমের দাবি ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে চম্পা আত্মহত্যা করে। অপরদিকে চম্পার পরিবারের দাবি তাকে মারধর করে হত্যার পরে ঘরের আড়ার সঙ্গে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালাচ্ছে। এদিকে চম্পাকে হারিয়ে তার পরিবারে বইছে শোকের ছায়া।
এ ব্যাপারে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, চম্পার প্রকৃত মৃত্যু রহস্য জানার জন্য মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ইউডি মামলা নেওয়া হয়েছে ।#