বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ
বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায়
প্রচুর পরিমাণে সমুদ্রে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে সোনাবাইন মাছ। পাথরঘাটা উপজেলায় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে আসা প্রতিটি ট্রলারেই দেখা মিলছে এ সোনাবাইন মাছের। দেশের মধ্যে এ মাছের চাহিদা কম থাকলেও রপ্তানি হয় বিদেশে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার সোনাবাইন মাছ বিক্রি হয় উপজেলার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে।
বরগুনা জেলার পাথারঘাটা উপজেলা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যাবধানে অথবা তার একটু বেশি সময় পার করে সাগর থেকে মাছ শিকার করে ঘাটে ফিরছে এক-একটি ট্রলার। প্রতিটি ট্রলারেই ধরা পড়ছে বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ। এর মধ্যে প্রতিদিন ঘাটে আসা প্রায় প্রতিটি ট্রলারেই ২০ থেকে ২৫ মণ সোনাবাইন মাছ শিকার করে ঘাটে নিয়ে আসেন জেলেরা। জাত ও সাইজের আকার অনুযায়ী প্রতি মণ সোনাবাইন মাছ বিক্রি হয় ২০ থেকে শুরু করে ৪০ হাজার টাকায়।
ইল গোত্রীয় এই মাছ সাধারণত শীত মৌসুমেই বেশি পাওয়া যায়। তবে বিদেশে এর কদর বেশি থাকায় রপ্তানি করার লক্ষে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ঘাট থেকে এ মাছ ক্রয় করে ঢাকার ব্যবসায়ীদের কাছে পাঠান।
পাথরঘাটা উপজেলার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাট এলাকার একজন মৎস্য আড়ৎদার মোঃ হাচান বলেন, এখন বর্তমানে সোনাবাইন মাছ একটু বেশি পাওয়া যায় সাগরে। প্রতিদিন গড়ে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার সোনাবাইন মাছ বেচা-কেনা হয় এখান থেকে। এই মাছ ধরা পড়ায় জেলেরা এখন খুশি।
মুসা ফিস নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মৎস্য আড়ৎদার মোঃ আলম বলেন, এই শীত মৌসুমে জেলেরা গভীর সমুদ্রে বড় ফাঁসের জাল দিয়ে সোনাবাইন মাছ শিকার করেন। এ মাছ দুই ধরনের হয় সাদাবাইন প্রতিমণ ২০ থেকে ২৫ হাজার এবং সোনালীবাইন প্রতিমণ ৪০ হাজার টাকায় বেচা কেনা হয় বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ঘাটে।
এ বিষয়ে মৎস্য কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, সোনাবাইন মাছ হচ্ছে ইল গোত্রের মাছ। বিশেষ করে এই মাছ শীতকালে প্রজননের জন্য এ অঞ্চলে আসায় বেশি পাওয়া যায়। এ মাছের পেটের মধ্যে যে বালিশ থাকে তা খুবই দামি হওয়ায় বেশি দামে এই মাছ বিক্রি হয়। এ মাছের বালিশ গুলোকে বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানি করা হয়। চীন এবং মালয়েশিয়ায় এ মাছের বালিশগুলোকে বিশেষ প্রক্রিয়াজাত করার মাধ্যমে তারা খাবার হিসেবে গ্রহণ করেন।