আপডেট: জানুয়ারি ২৪, ২০২৪
বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ
বরগুনায় কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় রবি/২০২৩-২০২৪ মৌসুমে সমলয় (Synchronize) বোরো ধান চাষ ব্লক প্রদর্শনীর চারা রোপণ অনুষ্ঠানে শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা প্রশাসক মোহাঃ রফিকুল ইসলাম।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বরগুনা সদর
বুড়িরচর ইউনিয়নের লাঙ্গল কাটা গ্রামে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ এর আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. আবু সৈয়দ মোঃ জোবায়দুল আলম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ পরিচালক (শস্য) এস.এম বদরুল আলম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ পরিচালক (পিপি) মোঃ ইকবাল হোসেন, অতিরিক্ত উপ পরিচালক (উদ্যান) সি এম রেজাউল করিম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন রাসেল ফরাজী, বরগুনা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাড. মোস্তফা কাদের, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি আজিজুল হক স্বপন, ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. মোঃ হুমায়ূন কবির, ৫নং আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মোঃ মোশাররফ হোসেন।
বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শামীম মিঞার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।
বরগুনা সদর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি অফিসের ব্যপস্থাপনায় কৃষি প্রণোদনা
কর্মসূচির আওতায় রবি/২০২৩-২০২৪ মৌসুমে সমলয় বোরো ধান চাষ ব্লক প্রদর্শনীর চারা রোপণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এলাকার কৃষক ছাড়াও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, কৃষি জমিতে যন্ত্রের ব্যবহার সহজতর করতে শুরু হলো সমলয়ে পদ্ধতিতে বোরো ধানের চাষাবাদ। বিশেষ এই পদ্ধতিতে কৃষক উৎপাদিত ধানের চারা যন্ত্রের মাধ্যমেই রোপণ ও যন্ত্রের মাধ্যমেই কাটা শেষে ফসল ঘরে তুলতে পারবে। এই পদ্ধতিতে শ্রমিক সংকট ছাড়াও উৎপাদন খরচ কমবে। রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্যে শ্রমিক ছাড়াই বোরো ধানের চারা রোপণ করা হচ্ছে। সনাতন পদ্ধতিতে মাটিতে ধানের চারা রোপণ করতে নানা প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হয়। কিন্তু সমলয় পদ্ধতিতে যন্ত্রের মাধ্যমে নিখুঁতভাবে সঠিক পরিমাপে ও দূরত্বে চারা রোপণ সম্ভব হয়। এই পদ্ধতিতে একদিকে যেমন শ্রমিক সংকট দূর হবে, অন্যদিকে একর প্রতি উৎপাদন খরচ কমবে প্রায় ৫০ ভাগ। শুধু তাই নয়,এই পদ্ধতিতে ফসলি জমিতে পোকা মাকড়ের বিস্তার রোধ, রোগ-বালাই দমন সহজ হবে। চলতি মৌসুমে কৃষি বিভাগের সহায়তায় সমলয় পদ্ধতিতে সদর উপজেলার ৫০ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে বোরো ধানের চাষ
করা হচ্ছে। সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষের জন্য উপজেলা ৫০ কৃষককে বীজ, সার, ধানের চারা রোপণ ও কর্তনের কাজ করে দিবে কৃষি বিভাগ।