স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জেরে তিনটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুরে ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার মাঝিগাতি ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, মাঝিগাতি ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে সাবেক ইউপি সদস্য দিলু মোল্লার সাথে রেজাউল মোল্লার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় ওই গ্রামের মুসল্লী বাড়ির সামনে হাবিবের দোকানে বসে ছিলেন রেজাউল মোল্লা এ সময় দিলু মোল্লার বাক প্রতিবন্ধী ছেলে রোমান মোল্লা ধারালো ছ্যান দিয়ে রেজাউলকে কোপ দেয়। এতে রেজাউল মোল্লা আহত হয় পরে স্থানীয়রা তাকে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এর জের ধরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রেজাউল মোল্লা ও লোকজন দিলু মোল্লার সমর্থক আতিয়ার মোল্লার দুইটি ও দিলু মোল্লার একটি এবং শামসু মোল্লার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এসময় লুটপাট চালানো হয়।
শুক্রবার বেলা ৪ টায় ওই গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, মোল্লা বাড়ীর আতিয়ার মোল্লার স্ত্রী হাফেজা বেগম (৭০) ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। ঘরটি পাকা দেয়ালের উপর টিনের চালা। ঘরে বৈদ্যুতিক মিটার ভাঙ্গা। ঘরের সামনে পাকা বসার জায়গা তা ভেঙে ফেলেছে। পাশে পড়ে আছে বৈদ্যুতিক পাখা, ঘরের ভিতরে ফ্রীজ, শো’কেস, হাড়ি-পাতিল, আলমারিসহ আসবাবপত্র ভাংচুর অবস্থায় পড়ে আছে।
হাফেজা বেগম বলেন, আমরা দীর্ঘদিন পরিবার নিয়ে ঢাকাতে বসবাস করছি। রাত দেড়টার দিকে প্রতিবেশির মাধ্যমে জানতে পারি গ্রামের রেজাউল মোল্লাসহ ১৫-২০ জন লোক আমার বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে। আজ সকালে বাড়ি এসে দেখি সব কিছু তছনছ করেছে। কেন এটা করলো আমি তা জানিনা৷ আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে রেজাউল মোল্লা বলেন, ১২ বছর আগে প্রতিপক্ষের লোকজন আমার বাড়ী ভাংচুর করে কছনছ করে দিয়েছিল। আমি গতকাল বৃহস্পতিবার হাসপাতালে থেকে বাড়িতে আসি। ওই রাতে আমার পাশের বাড়িতে হামলার শব্দ শুনতে পাই। কে বা কারা এ ঘটনায় ঘটিয়েছে তা আমি জানিনা। তবে আমার ধারণা তৃতীয় কোন পক্ষ আমাদের ফাঁসাতে এ ঘটনা ঘটাতে পারে।
মাঝিগাতি ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য কবীর মোল্লা বলেন, এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। তবে আতিয়ার মোল্লা তার পরিবার নিয়ে ঢাকাতে থাকেন। তার বাড়িতে কেন হামলা চালিয়েছে তা আমার বোধগম্য নয়। চেয়ারম্যান ও আমরা মিলে এলাকার শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে দুই পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেছি।
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনিচুর রহমান বলেন, মাঝিগাতি ইউনিয়নে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। গতকাল রাতে তিনটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ও কুপিয়ে ভাংচুর করে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ওই রাতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। আজ দুই পক্ষকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। যদি না আসে তাহলে অভিযোগেরভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। #