• ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ৩রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হুক্কা পড়ে না এখন চোখে

report71
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪, ১৪:৩৮ অপরাহ্ণ
হুক্কা পড়ে না এখন চোখে

এস মিজানুল ইসলাম, বানারীপাড়া (বরিশাল) সংবাদদাতা।। হক্কা বর্তমানে এখন বিলুপ্তির পথে। অথচ এক সময় এ হুক্কা এ ছিলো বাংলার সামাজিক অবস্থানের একটি অংশ।
হুক্বা ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ তার সামাজিক অবস্থানকে চিন্হিত করতে পারতো। তার আভিজাত্যের পরিচয় বহন ও করতো।
গ্রাম বাংলায় এখনো বৃদ্ধরা নামি-দামি সিগারেট, বিড়ি জাতীয় দ্রব্য ব্যাবহার না করে হক্কার সুখ টানেই আমেজ কাটাচ্ছেন।
হক্কা নারিকেলের খোল দিয়ে তৈরি করা হয় । অনেক প্রভাবশালী খান্দানীরা পিতলের বাহারী হুক্কা ব্যবহার করতো। পোড়া মাটি দিয়ে তৈরি হয় হক্কার ছিলিম। এ ছিলিমে তামাক ও আগুন মিলে তৈরি হয় এক প্রকার নেশা জাতীয় মহৌষধ।
নারিকেল বা পিতলের খোলে পানি দিয়ে হুক্কায় লাগানো পাইপটি মুখে
লাগিয়ে টানলে গড় গড় শব্দ হয়। আর হক্কার ধোঁয়া নেশায় পরিনত হয়।
এ সভ্যতার যুগে মানুষ এখন এ হক্কা ছেড়ে নামি-দামি সিগারেট, বাবা, গাঁজা, হেরোইন, ইয়াবা, ফেনসিডিল ও বিড়ি টেনে নেশা মিটিয়ে মরণের দিকে নিয়ে যায়। এরা স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন-যাপন করলেও গ্রাম বাংলার বৃদ্ধরা এ ঐতিহ্য হুক্কা এখনো ছাড়েনি। অতীতে রাজা-বাদশা ও
ঋষি-মুনিরা হুক্কায় নেশার আমেজ মেটাতেন। তবে এ হুক্কার ব্যবহার কবে শুরু হয়েছে তা জানা যায়নি।
বর্তমানে বানারীপাড়ায় হুক্কা বিক্রির দোকান নেই। শহর থেকে হুক্কা বিলুপ্ত হয়েছে। গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারে এখনো দু’একটা দোকানে কদাচিত চোখে পরে। তবে, আগের মতো বাহারী আর বিভিন্ন নকশার হক্কা এখন আর দেখা যায় না। তেমন চোখেও পড়েনা।#