• ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অগ্রিম বুকিং না দিয়ে ভোগান্তিতে পর্যটক, ছাতা বেঞ্চ তাদের আসল ঠিকানা

report71
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪, ১২:০৭ অপরাহ্ণ
অগ্রিম বুকিং না দিয়ে ভোগান্তিতে পর্যটক, ছাতা বেঞ্চ তাদের আসল ঠিকানা

জাহিদুল ইসলাম জাহিদ কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি :
এ যেন কপাল খুলেছে সমুদ্র কন্যার সাপ্তাহিক ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে পর্যটন নগরী কুয়াকাটায়।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই সৈকতের তিন নদী মোহানা, ঝাউবন শুটকি মার্কেট, লেম্বুর বন, রাখাইন মহিলা মাঠ ও মার্কেট সহ সৈকতের যেদিকে চোখ যায় মানুষ আর মানুষ। ইতোমধ্যে আগামী ২১,২২,২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেল-মোটেল ও কটেজ অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। 

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা কুয়াকাটায় বেড়াতে এসে সবচেয়ে বড় ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে হোটেলের রুম না পেয়ে, পরে সারাটা দিন ছাতা বেঞ্চে কাটিয়ে সন্ধ্যা বেলায় নিজ গন্তব্যে ছুটে চলতে দেখা গিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছে, শুক্রবার কুয়াকাটা প্রায় অর্ধ লক্ষাধিকের বেশি পর্যটক অবস্থান করছেন। যে সকল পর্যটক অগ্রিম বুকিং ছাড়া এসেছেন তাদের বিপাকে পড়তে হয়েছে। হোটেল না পাওয়া পর্যটকদের সৈকতের ভেড়িবাদ, বালিয়াড়িসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যাগ হাতে এদিক ওইদিক ছুটতে দেখা গেছে।

যশোর থেকে আসা জনি বলেন, আমরা ছুটি পেয়ে ৫৬ জন বন্ধু-বান্ধব কুয়াকাটায় ট্যুরে এসেছি আবার রাতে চলে যাব। সামনে রমজান তাই এখন এসেছি। চমৎকার একটি যায়গা কুয়াকাটা। বেশ ভালোই লেগেছে। 

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশন এর সভাপতি ইব্রাহিম ওয়াহিদ জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারি মূলত পর্যটকদের ভ্রমণের একটি উপযোগী সময়। এই সপ্তাহে কুয়াকাটায় রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক হয়েছে। যা বিগত এক বছরেও হয়নি। কুয়াকাটা যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় পর্যটকদের চাপ বেড়েছে।

পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবছর সিজনে কুয়াকাটা তেমন পর্যটক আসেনি। ভরা মৌসুমে আমাদের লোকসান গুনতে হয়েছে৷ তবে ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে কিছুটা পর্যটকদের সারা মিলছে। এতে হাসি ফুটেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মুখে।

আরো বলেন, কুয়াকাটায় পর্যটক বাড়লেও, রাত্রিযাপন অনেকটা কমছে। কারণ হিসাবে  বলছেন পদ্মা সেতু সহ দক্ষিণাঞ্চলে বেশ কয়েকটি সেতুর কারনে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ ও দ্রুততম পর্যটকরা ফিরছে গন্তব্যে। 

কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, কুয়াকাটায় ১৫ থেকে ২০ হাজার পর্যটকদের আবাসিক সেবা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। হোটেল- মোটেল শতভাগ বুকিং রয়েছে। আজ কুয়াকাটা প্রায় অর্ধ লক্ষ পর্যটকদের সমাগম হয়েছে, এদের মধ্যে পার্শ্ববর্তী জেলার কিছু লোক রাতেই ফিরবে।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমাদের কঠোর নজরদারি ও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্পট সহ পুরো সৈকত জুড়ে  রয়েছে সিসি ক্যামেরার আওতাভুক্ত।   কুয়াকাটায় দিন দিন পর্যটকের আগমন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে কারণে পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। 
পর্যটকের এমন উপস্থিতিতে হাসি ফুটেছে কুয়াকাটার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মুখে ।