আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪
মোঃ সাইফুল ইসলাম আকাশ
নিজস্ব প্রতিবেদক,ভোলা:
চরম দারিদ্র্যেও দমে না যাওয়া ভোলার বোরহানউদ্দিনের পক্ষিয়া ইউনিয়নের আয়শা আক্তার সীমা জামালপুর শেখ হাসিনা সরকারি মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি হতে পারছে না,ভর্তির প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে টাকা,ভর্তির জন্য ২০ হাজার টাকা সংগ্রহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন তার দরিদ্র ভ্যান চালক বাবা সফিক মিয়া,এমন সংবাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং সাংবাদিকদের কাছে শুনে
মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া আয়শা আক্তার সীমার ভর্তি ও পড়াশোনার সব দায়িত্ব নিয়েছেন ভোলা ২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল।
২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকাল ১১ টায় বোরহানউদ্দিনে তার নিজ বাসায় আয়সা আক্তার সীমা ও তার বাবা ভ্যান চালক সফিক মিয়াকে ডেকে তাদের
হাতে ভর্তি বাবদ নগদ অর্থ প্রদান করেন এবং যতদিন সীমা মেডিকেল কলেজে পড়বেন ততদিন পড়াশোনা সহ সকল খরচ ব্যয় করবেন বলে জানান সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল।
আয়শা আক্তার সীমা বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা
হতদরিদ্র ভ্যান চালক সফিক মিয়ার মেয়ে।
হতদরিদ্র পরিবারের সীমা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেলেও অর্থাভাবে তার ভর্তি হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা চলছিল।
পরে বিষয়টি আজকের পত্রিকা প্রতিবেদক সাংবাদিক মোঃ সাইফুল ইসলাম আকাশ ও স্থানীয়দের মাধ্যমে তার নজরে আসে।
তাৎক্ষণিক তিনি মেধাবী শিক্ষার্থী সীমা ও তার বাবাকে দেখা করার জন্য সংবাদ পাঠান।
এ সুসংবাদে হাসি ফুটেছে সীমা ও তার ভ্যান চালক বাবা সফিক মিয়ার পরিবারের সদস্যদের মুখে।
চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণে এমপিকে পাশে পেয়ে কৃতজ্ঞ সীমার পরিবার।
সীমার বাবা সফিক মিয়া বলেন, মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য লাগবে ২০ হাজার টাকা। ভর্তির পর বইসহ
আনুষঙ্গিক খরচে প্রয়োজন আরও এক লাখ টাকা। ভ্যান চালিয়ে আমার পক্ষে মেয়ের ভর্তির জন্য এতো টাকা জোগার করা কখনোই সম্ভব না। মেয়ে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পর তাকে ভর্তি করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ি। এই দুঃসময়ে কাউকে পাশে পাচ্ছিলাম না। ঠিক সেই মুহূর্তে আমাদের পাশে দাড়িয়েছেন এমপি মহোদয়। আমরা এমপি মহোদয়ের প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আয়শা আক্তার সীমা বলেন, অনেক কষ্ট করে পড়ালেখা করে আজ মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। মেডিকেল চান্স পাওয়ার পর আমি ও আমার পরিবার অনেক খুশি হই। কিন্তু পরক্ষণেই ভর্তি ও পড়ালেখার খরচের অর্থ সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়ি। পরে এমপি স্যার সব দায়িত্ব নেন,আমাকে মেয়ে বলে সম্বোধন করেছেন। আমি ও আমার পরিবার এখন দুশ্চিন্তামুক্ত। এমপি স্যারের প্রতি আমরা আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।
এ বিষয়ে ভোলা ২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন,আমি সবসময়ই অসহায়-দুস্থদের পাশে থাকি,আপনার মাধ্যমে জানতে পারি সীমা নামের এক শিক্ষার্থী মেডিকেল এ ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন কিন্ত অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারছেন না,এ সংবাদটি শুনেই আমি সীমার পাশে দাড়িয়েছি,তার ভর্তি সহ পড়ালেখার যাবতীয় খরচ আমি একজন বাবা হিসেবে ব্যয় করবো,সে আমার মেয়ে হিসেবেই থাকবে তার যাতে কোন ধরনের কষ্ট না হয় সে জন্য আমি সবসময়ই আমার মেয়ের খোঁজ-খবর নেব।
উল্লেখ্য, অদম্য মেধাবী সীমা ২০২১ সালে ডোরস মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে এসএসতিতে জিপিএ-৫ এবং ২০২৩ সালে সরকারি আব্দুল জব্বার কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।