রিয়াজুল হক সাগর,রংপুর।
রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আফতাবুজ্জামান লিপনকে লক্ষ করে গুলিবর্ষনের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে বদলীজনিত ক্ষোভ ও ভাগভাটোয়ারের আদিপাত্য বিস্তারে‘একেবারে সরিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যেই এ গুলিবর্ষন করে বলে জানিয়েছে তারা।বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টার সময় ডিসি ক্রাইম অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি ক্রাইম আবু মারুফ হোসেন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন সাতগাড়া মিস্ত্রিপাড়ার আক্তার হোসেন এর ছেলে কাওছার আলী (৪৩), ধাপ চেকপোষ্ট হাজী কলনীর সোলাইমান আলীর ছেলে আসাদুল ইসলাম সুমন (৩৮), ধাপ শ্যামলী লেনের তৈয়বুর রহমানের ছেলে আহসান হাবীব মিলন (৩৫) এবং ধাপ শিমুলবাগ এলাকার ফজলুল হকের ছেলে হান্নান মিয়া বাবু (৩০)।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রংপুর নগরীর ধাপ এলাকায় স্বপ্ন শপিংমলের সামনে মাইক্রোবাস স্ট্যান্ডে মোটর মালিক সমিতির নামে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে মোটর মালিক সমিতির নিয়োগকৃত কাওছার আলীকে বাস টার্মিনাল থেকে মেডিকেল মোড় এলাকায় বদলী এবং আসাদুল ইসলাম সুমন ও আহসান হাবীব মিলনকে বরখাস্ত করা হয়। বদলীয় ও বরখাস্তে রংপুর জেলা মটর মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সৈয়দ আফতাবুজ্জামান লিপন হস্তক্ষেপের সন্দেহ করে গ্রেফতারকৃতরা। চাঁদাবাজি এবং ভাগবাটোয়ারায় আদিপাত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে একেবারে সরিয়ে দিতে নজরদারীর মধ্যে রাখে সৈয়দ আফতাবুজ্জামান লিপনকে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারী রাত আনুমানিক ১০ টার সময় আসাদুল ইসলাম সুমনের দেয়া তথ্যে নগরীর কামারপাড়া ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সৈয়দ আফতাবুজ্জামান লিপনকে লক্ষ করে প্রাইভেট কারে গুলির্ষন করে কাওছার আলী। গুলিবর্ষণ শেষে হান্নান বিন বাবুর মোটরসাইকেলে করে তাৎক্ষনিকভাবে তারা পালিয়ে যায়।এ ঘটনায় প্রাইভেট কারের ক্ষতি হলেও অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা হয় লিপনের। পরে ১৯ ফেব্রুয়ারী রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করে সৈয়দ আফতাবুজ্জামান লিপন। মামলা দায়েরের পর রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি এবং বিভিন্ন কর্ণার থেকে বিশ্লেষন করে অভিযান পরিচালনা করে ৪ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ৪ জনের মধ্যে ৩ জন এই ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার কথা রিমান্ডে জিজ্ঞাবাসাদে স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি ক্রাইম আবু মারুফ হোসেন জানান, মুলত মোটর মালিক ও শ্রমিকদের দুটি গ্রুপের মধ্যে আধিপাত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যেই এই গুলিবর্ষনের ঘটনাটি ঘটেছে। এখনও রিভলবারটি (অস্ত্র) উদ্ধার সম্ভব হয়নি। অস্ত্র উদ্ধারে তাদের পুণরায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে করা হবে। সেই সাথে এই ঘটনায় আরো কারা কারা জড়িত তাদের সনাক্তে পুলিশ কাজ করছে। অচিরেই হয়তো জানানো সম্ভব হবে।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার অপরাধ ও মিডিয়া মুখপাত্র উৎপল রায়, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) আরিফুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।