হিজলা প্রতিনিধি।। বরিশালের হিজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আউটসোর্সিং এ নিয়োগপ্রাপ্ত চার কর্মীকে নাজেহাল ও হয়রানির অভিযোগ।
১৭ জুলাই সকাল দশটার দিকে আউটসোর্সিং এ নিয়োগ প্রাপ্ত চার কর্মী কর্মস্থলে ছুটি আসে।
হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করতে গিয়ে দেখে অনুপস্থিত না থেকেও হাজিরা খাতায় ১৭ দিন অনুপস্থিত দিয়েছে স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ডাক্তার মাজেদুল হক কাওসার।
এ নিয়ে ভুক্তভোগীদের সাথে ডাক্তারের কথার কাটাকাটি।
এক পর্যায়ে ডঃ মাজেদুল হক কাওসার বিষয়টি হিজলা থানা পুলিশকে অভিহিত করলে থানা ইনচার্জ জুবাইর আহমেদ তাৎক্ষণিক হাসপাতালে পুলিশ পাঠায়।
এ বিষয়ে গালফ সিকিউরিটি সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড আউটসোর্সিং এর নিয়োগ দেয়া পরিচ্ছন্ন কর্মী রিনা খানম জানায় আমরা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেছি। কিন্তু টি এস এর অফিসের মধ্যে হাজিরা খাতা থাকায় স্বাক্ষর করতে পারি না। আমাদেরকে ১৭ দিনের অনুপস্থিত দেখায়। এ নিয়ে কথার কাটাকাটি হয়েছে।
এছাড়াও এক বছরের বকেয়া বিল থেকে হিসাব রক্ষক হাসান দুলালের মাধ্যমে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দাবি করে। বিষয়টি মৌখিকভাবে সিভিল সার্ভিস সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো হয়েছে। দাবিকৃত টাকা না দেয়ার এ ধরনের আচরণ করছে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
আয়া আসমা জানায় ডাক্তার মাজেদুল হক কাওসার তাকে কুপ্রস্তাব এবং সময় দেয়ার জন্য বলে। এতে এখনো আসমা আতঙ্কিত শংকিত।
ওয়াট বয় রাকিবুল্লাহ জানায় ৩৬ মাস বকেয়া বেতনের এক বছরের টাকা এসেছে।
বেতনের টাকা নিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ঘুরাঘুরি করে।
ক্যাশিয়ার হাসান দুলালের মাধ্যমে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে।
দাবিকৃত টাকা দিতে অশ্বিকৃতি জানালে আমাদের উপর বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রয়োগ করছে ডাঃ মাজেদুল হক কাওসার।
এদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মাজেদুল হক কাওসার ঘুষের টাকার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন এরা দীর্ঘ ১৫ দিন যাবত অনুপস্থিত। এতে হাসপাতালের রোগীদেরসেবা বিঘ্ন ঘটে।
হিজলা থানা অফিসার ইনচার্জ জুবাইর আহমেদ বলেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফোন দেয়ার সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান।
ভুক্তভোগী চারজন বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করে।