বরগুনা জেলা প্রতিনিধি:
বরগুনা সদর উপজেলায় পুলিশ ইনসপেক্টর আরিফের উপস্থিতিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রাখাইনের ৪ মণ আমন ধনের বীজ তলা ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করে নষ্ট করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকালে এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের বড় বালিয়াতলী গ্রামের সরজমিনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
জানা যায়, রবিবার (২৮ জুলাই) দুপুরের দিকে ৯ নম্বর এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের বড় বালিয়াতলী গ্রামের রাখাইন সম্প্রদায়ে সদস্য আলাগ্রীর স্ত্রী মাব্রেসের কৃষি জমিতে প্রতিপক্ষ মৃত হাতেম হাওলাদারের ছেলে পনু মিয়ার নেতৃত্বে তার ছেলে নাজমুলসহ, গোলাম রসুল, মো, আলম, মো. হাসান, পনু মল্লিক, আ. খালেক বিশ্বাসসহ বিশ পঁচিশ জন লোক নিয়ে এসআই অরিফুল ইসলাম এর উপস্থিতিতে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করে মাব্রেসের রোপণকৃত ৪ মণ আমন ধানের চারা নষ্ট করে দেয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, অত্র জমির ওয়ারিশ সূত্রে মালিক মাব্রেসে। তার পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে কিছু জমি প্রতিপক্ষ পনু গং ক্রয় করেন। তবে যে পরিমাণ জমি তারা ক্রয় করেছেন তাথেকে অধিক জমি জোর জবরদস্তি করে ভোগ দখলের চেষ্টা চালায়। তার ধারাবাহিকতায় রবিবার সদলবলে পনু গং এসে ৪ মণ ধানের বীজতলা সম্পূর্ণ রূপে নষ্ট করে দেয় এবং রাখাইন মাব্রেসে কে লাঞ্ছিত করে। তাকে দেশ ছাড়া করারও হুমকি দেন।
প্রতিবেশি আউয়াল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা ফোরকান এবং বাবুল মল্লিক জানান, পনু গং দীর্ঘদিন যাবৎ রাখাইন মাব্রেসের জমি দখলের চেষ্ট করে যাচ্ছে। এবিষয়ে একাধিক বার শালিসি বৈঠক করেন গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। তাবে তারা তাদের শালিসির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জবরদন্তি মাব্রেসের জমি দখলের চেষ্টা করে যাচ্ছে। এমনকি উক্ত জমির বিষয় নিয়ে বরগুনা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী ৩০৩/২০২২ নং মোকদ্দমাও চলমান আছে। আদালতে মামলা চলমান থাকা সত্বেও পনু গং পুলিশ ইনসপেক্টর আরিফ কে সাথে নিয়ে অসহায় রাখাইন মাব্রেসের ৪ মণ ধানের বীজতলা নষ্ট করে ও জমি দখল দেওয়ার চেষ্টা চালায়।
ওয়ারিশ সূত্রে জমির মালিক মাব্রেসে বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আমি অত্র জমি ভোগদখল করে আসছি। জমিতে বপণকৃত ৪ মণ ধানের বীজ এস আই আরিফের উপস্থিতিতে প্রতিপক্ষ পনু গং নষ্ট করে দেন এবং আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে লাঞ্ছিত করে দেশ ছাড়া করার হুমকি দেন। এ বিষয়ে আমি বরগুনা পুলিশ সুপার মো. রাফিউল আলম বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেই।
বরগুনা সদর থানার সাব ইনসপেক্টর আরিফুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, তবে আমার উপস্থিতিতে কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে বরগুনা পুলিশ সুপার মো. রাফিউল আলম কে একাধিক বার মুঠো ফোনে 01320-156100 যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।