• ১৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোপালগঞ্জে ১২ হাজার ৭৭৫ হেক্টরে রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা

report71
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৪, ১৩:৫৭ অপরাহ্ণ
গোপালগঞ্জে ১২ হাজার ৭৭৫ হেক্টরে রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা

স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জ জেলায় এবছর ১২ হাজার ৭৭৫ হেক্টরে রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ফলে জেলার ৫ উপজেলায় রোপা আমন ধান আবাদের ধূম পড়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছে জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর। মাঠ পয্যায়ে কৃষকদের সহায়তা করছে কর্মকর্তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, ১২ হাজার ৭৭৫ হেক্টরের মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ২ হ্জার ৯৮৭ হেক্টর, মুকসুদপুর উপজেলায় ১ হাজার ৫৫৩ হেক্টর, কাশিয়ানী উপজেলায় ৪ হাজার ৩৯২ হেক্টর, কোটালীপাড়া উপজেলায় ২ হাজার ২৮৩ হেক্টর ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ১ হাজার ৫৬০ হেক্টরে রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ৬৫০ হেক্টর, মুকসুদপুরে ১ হাজার ২১০ হেক্টর, কাশিয়ানী উপজেলায় ৮৮০ হেক্টর, কোটালীপাড়া উপজেলায় ৪২০ হেক্টর ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় ১১০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ৩ হাজার ২৭০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। কৃষকরে মধ্যে রোপা আমন ধান আবাদ নিয়ে যে উৎসাহ উদ্দিপনা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, এ উপজেলায় ২ হাজার ৯৮৭ হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতমধ্যে কৃষক ৬৫০ হেক্টরে এ ধানের আবাদ সম্পন্ন করেছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষক বোরো, আউশ ও আমানসহ সব ধরনের ধানের আবাদ করছেন।

গোপালগঞ্জে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আঃ কাদের সরদার বলেন, ঘুর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্থ ৫ হাজার কৃষককে পুনর্বাসন কর্মসূচীর আওতায় বিনামূল্যে ৫ কেজি করে ধান বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় ২ হাজার ৪০০ কৃষককে বিনামূল্যে ৫ কেজি করে ধান বীজ, ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার বিতরণ করা হয়েছে। এসব উপকরণ দিয়ে কৃষক ৭ হাজার ৪০০ বিঘা জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করেছেন। এতে জেলায় ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরো বলেন, সব মৌসুমেই কৃষক ধানের বাম্পার ফলন পেয়ে লাভবান হচ্ছেন। এতে জেলায় খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে কৃষকের আয় বাড়ছে। #