রিয়াজুল হক সাগর,রংপুর।
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আব্দুল্লাহ আল তাহির (২৮) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় আরো একটি হত্যা মামলা হয়েছে। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোতয়ালী আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন তাহিরের মা শিরিন বেগম।এ মামলায় সাবেক মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরসহ জেলা পুলিশের ১০০-১৫০ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবি শাহ মোঃ মেজবাহুল মান্নান।নিহত আব্দুল্লাহ আল তাহির রংপুর নগরীর জুম্মাপাড়া এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি ঢাকার বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব গ্লাস এন্ড সিরামিকসের অষ্টম পর্বের ছাত্র ছিলেন।তাহির হত্যা মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক সংসদ সদস্য টিপু মুনশি, রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ মনিরুজ্জামান, মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডাঃ দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক একেএম ছায়াদত হোসেন বকুল, যুগ্ম আহ্বায়ক মাজেদ আলী বাবুল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাফিয়ার রহমান সফি, সাবেক এমপি ডিউক চৌধুরী, নাছিমা জামান ববি, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর রফিকুল আলম, জাহাঙ্গীর আলম তোতা, কানা হারুন, সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ইদ্রিস আলী, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন, জেলা যুবলীগের সভাপতি লহ্মীন চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সিদ্দিকী রনিসহ অন্যরা।মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই বিকেলে বৈষম্যবেিরাধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল প্রেসক্লাব থেকে বের হয়। মিছিলটি সিটি কর্পোরেশনের দিকে আসলে বিপরীত দিক থেকে আসামিরা দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোটা দিয়ে হামলাসহ মিছিলের দিকে তাক করে গুলি করে। এ সময় তাহির গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এরআগে গত ১৮ আগস্ট রংপুর কোতয়ালী মেট্রো থানার কগনিজেন্স আদালতে তাহিরের বাবা আব্দুর রহমান বাদী হয়ে সাবকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, আনিসুল হক, হাসান মাহমুদ, জাহাঙ্গীর কবির নানকসহ ৪০ জনের নামে এবং অজ্ঞাত আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।