স্টাফ রিপোর্টার, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর উপর হামলা ও কেন্দ্রীয় ক্রীড়া সম্পাদক শওকত অালী দিদারকে হত্যার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বিএনপি।
আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা শহরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টের হল রুমে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপি আহবায়ক শরীফ রফিকউজ্জামান।
লিখিত বক্তব্যের তিনি বলেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলেল কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী তার বাবা-মায়ের কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিমসহ ফাকা থেকে যাত্রা করে। পরে বেদগ্রামের পথ সভা শেষ করে গাড়িবহর নিয়ে টুঙ্গিপাড়ার নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী। এসময় গাড়ী বহরটি ঘোনাপাড়ায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগের জেলা, থানা ও পৌর নেতাদের যোগসাজশে কয়েক হাজার আওয়ামী দুস্কৃতকারী বর্বোরচিত হামালা চালায়। এসময় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া সম্পাদক শওকত অালী দিদারকে পিটিয়ে হত্যা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী ও তার সফর সঙ্গী স্ত্রী রওশন আরা রত্না, শিশু পুত্রসহ অন্যান্যরা আহত হন। এ ঘটনায় গত ১৭ সেপ্টেম্বর মামলা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ থেকে স্থানীয় পয্যায়ের নেতৃবৃন্দ কোন না কোন ভাবে ভূমিকা রেখেছে। এর হামলার পর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ইলিয়াস হক যে কয়টি বিবৃতি দিয়েছেন যা একটির সাথে অন্যটির মিল নেই। অসংলগ্ন এ বিবৃতির মাধ্যমে এ হামলা ও হত্যার দায় স্বীকার করে নিয়েছে। এটিই আওয়ামী লীগের বৈশিষ্ট।
জেলা বিএনপির আহবায়ক আরো বলেন, রাজনীতিতে সব সময় একটি সহাবস্থান থাকে, যা বাংলাদেশ কম বেশি আছে। কিন্তু গোপালগঞ্জে ব্যতিক্রম, গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের বাইরে অন্য কোন দলকে রাজনীতি করতে দেয়া হয় না। তারা মনে করে বিশেষ করে বিএনপিকে মনে করে, বিএনপি যদি এখানে মুক্তভাবে রাজনীতি করতে পারে তাহলে তাদের যে একক অধিপত্য এটা থাকবে না। একসময় হয়তোবা তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতার সমুখ হয় এবং পরাজিত হবে। যে কারনে বিএনপিকে ১৮ বছরে ঘরের মধ্যেও কর্মসূচী পালন করতে দেয়নি। তারা অত্যান্ত ভীত ও আতংকিত, যে তারা একসময় পরাজিত হবে। তারা এই আতংকিত থেকেই এই হামলা চালিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির নেতৃত্বকে নষ্ট করতে, সমূলে বিনাশ করতে তারা এ ষড়যন্ত্র করেছে। আওয়ামী লীগ তাদের নিজের দলেরও উদীয়মান নেতাদের হত্যা করেছে, সত্যবাদী, ন্যায়বাদী নেতাদের হত্যা করেছে। আমরা সেই আলোকে মনে করি শেখ সেলিমসহ আরো শীর্ষ নেতারা এ হত্যাকান্ডে মদদ দিয়েছে, অর্থ দিয়েছে, সহযোগীতা করেছে। যা তদন্তে আরো প্রমাণিত হবে।
এ হত্যা ও হামলার সাথে জড়িত পরামর্শদাতা, ইন্দনদাতা ও অর্থদাতাদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তিনি।
এ সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সদস্য ডা: কে এম বাবর, আজিজুর রহমান বেনো, অ্যাডভোকেট তৌফিকুল ইসলাম, এস এম জিয়াউল কবির বিপ্লব, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপিত সিকদার শহীদুল ইসলাম লেলিন, জেলা যুবদলের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন লিপটন, সাধারন সম্পাদক রাশেকুজ্জামান পলাশ, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন হীরাসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। #